ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১২তম গ্রেডে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
এ সময় তারা ৮ম জাতীয় পে-স্কেলে প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করে অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে টাইম স্কেল বহাল করারও দাবি জানান।
সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত যেখানে বেতন গ্রেডের পার্থক্য ছিলো এক ধাপ, সেখানে ২০০৬ সালে দুই ধাপ ব্যবধান ও ২০১৪ সালে এ ব্যবধান ৩ ধাপে পরিণত হয়। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য প্রায় ৯৩ গুণ। এই চরম বৈষম্য কোনো ভাবেই কাম্য নয়।
প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ বন্ধ করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে আর্থিক সুবিধাসহ শতভাগ পদোন্নতি দিতে হবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবায়ন চায়।
অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে টাইম স্কেল বহালসহ যথাসময়ে যোগদান তারিখ অনুযায়ী বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ১০ শতাংশ হারে দিতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদান করতে হবে। প্রাথমিক ডিপার্টমেন্টকে নন ভ্যাকেশনাল ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করতে হবে।
আগামী ৫ অক্টোবারের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রয়োজনে সহকারী শিক্ষকগণ সমাপনী পরীক্ষা বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। এসব দাবি বাস্তবায়নে ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিকী অনশন এবং শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য জোটের সভাপতি তপন কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রবিউল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেরা বেগম, আনিছুর রহমান, মোহাম্মদ শামছুদ্দীন, শাহীনুর বেগম, জাহিদুর রহমান বিশ্বাস, মোকাম্মেল হোসেন, মো. আছাদুজ্জামান প্রমুখ।