ডেস্ক,৫মে:
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সব এক শিফটে করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার। সে অনুযায়ী আগামী বছর থেকে ডাবল শিফট তুলে এক শিফট করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় । আগামী বছর থেকে স্বল্পসংখ্যক বিদ্যালয়ে এটি কার্যকর করা হতে পারে।
জানা গেছে, প্রথমদফায় স্বল্পসংখ্যক স্কুলে এক শিফট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। পরে সব স্কুল থেকে পর্যায়ক্রমে ডাবল শিফট তুলে দেওয়া হবে। দেশের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখন দুই শিফটের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন শিক্ষাবার্তাকে বলেন, ‘দুই শিফটের কারণে শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি সময় দিতে পারেন না। এজন্য সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিফট চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন করে ৬৪ হাজার ক্লাসরুম নির্মাণ করা হবে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকবে না। প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষকও নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে সব স্কুলে এক শিফট চালু করা সম্ভব হবে।’
জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শিফটে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় শিফটে চলে তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস চলে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত। মূলত শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সঙ্কটের কারণে দুই শিফটে ক্লাস নেওয়া হয়।
তবে রাজধানী ঢাকায় ক্লাস চলে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল পৌনে ৩টা পর্যন্ত। এরমধ্যে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রথম শিফট এবং ১০টা থেকে বিকেল পৌনে ৩টা পর্যন্ত দ্বিতীয় শিফটে ক্লাস নেওয়া হয়।
দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৯৩টি। এর মধ্যে বেশির ভাগ স্কুলে চারটি করে কক্ষ রয়েছে। এরমধ্য থেকে একটি কক্ষ ব্যবহৃত হয় শিক্ষকদের জন্য। বাকি তিনটি কক্ষে ক্লাস নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন
ঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসুচি পালন না করতে অনুরোধ সচিবের