ডেস্ক,২২ ডিসেম্বর ২০২২: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামী বছরের নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
সম্প্রতি শিক্ষাবার্তাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তিনি বলেন, সারাদেশে ৩৭ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষকদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, এই নিয়োগ কার্যক্রমের পাশাপাশি আমরা নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করছি। তথ্য পাওয়ার পর আমরা আবার নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবো।
আরো পড়ুন: ৬৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
ফরিদ আহাম্মদ জানান, সহকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য আমরা একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ দেব। এই নিয়োগ কয়েকটি ধাপে দেওয়া হবে।
এদিকে প্রথমবারের মতো প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত ৩৭ হাজারের বেশি শিক্ষকের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হবে। সরকারি চাকরির নিয়োগ বিধি অনুযায়ী এই ভেরিফিকেশন করা হবে। তবে এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক সচিব বলেন, সরকারি চাকরির বিধিমালাতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের কথা বলা হয়েছে। সেজন্য চাকরির জন্য নির্বাচিতদের ভেরিফিকেশন করা হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩ সেট পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। কোনো প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টে পূর্ব কার্যকলাপ সন্তোষজনক না হলে কিংবা নাশকতা, সন্ত্রাসী বা জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত বা রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যক্রমে লিপ্ত ছিলেন বলে প্রতীয়মান হলে তিনি চাকরিতে অনুপযুক্ত হবেন।
সাড়ে ৩৭ হাজারের বেশি শিক্ষকের ভেরিফিকেশন অনেক লম্ব প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণ করছি ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে শিক্ষকদের ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবে। তবে আমরা ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই শিক্ষকদের যোগদানের সুযোগ দেব। ভেরিফিকেশন রিপোর্ট খারাপ আসলে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।