সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে চাকরিপ্রার্থীদের এ দাবিকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
রোববার (৩১ মার্চ) এ দাবি করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
ডিপিই মহাপরিচালক বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই। চাকরিপ্রার্থীরা নানা ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করেছেন। তবে তারা সফল হতে পারেননি। এই বিষয়টিকে সামনে এনে একটি চক্র প্রশ্নফাঁসের গুজব রটাচ্ছেন।
শাহ রেজওয়ান হায়াত আরও বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের প্রশ্নফাঁস নিয়েও কথা উঠেছিল। তৃতীয় ধাপেও একই কাজ করছে একটি চক্র। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনেক স্বচ্ছ হয়েছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করব।
এর আগে গত ২৯ মার্চ সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই দুই বিভাগের ২৪ জেলার ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় সাড়ে তিন লাখ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
২০২৩ সালের ১৮ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে আবেদন করেন দুই বিভাগের তিন লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন চাকরিপ্রার্থী।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে আন্দোলনে নামে প্রার্থীরা। উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে রিটও করেন কিছু শিক্ষার্থীরা। তবে দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহে তুলনামূলক সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।