নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ মে, ২০২২
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির তথ্য অন্তর্ভুক্তি চলছে। গত ১৬ মে থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল বিভাগের তথ্য অন্তভুক্তি শুরু হয়ে ২২ মে পর্যন্ত চলার কথা ছিলো।
কিন্তু তথ্য অন্তর্ভুক্তির শুরুতে সার্ভার জটিলতা থাকায় অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীর তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বাবা মায়েরে জাতীয় পরিচয় পত্র ভ্যালিডেশনসহ কিছু সমস্য দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টাইম স্কেল নিয়ে আপিল খারিজ
এ পরিস্থিতিতে তিন বিভাগের উপবৃত্তির তথ্য অন্তর্ভুক্তির সময় বাড়িয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ২৫ মে (বুধবার) পর্যন্ত ঢাকা, ময়মনসিংগ ও বরিশাল বিভাগের শিক্ষার্থীদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের বিভাগগুলোর তথ্য অন্তর্ভুক্তি তিন দিন পরে শুরু হয়ে সাত দিন চলবে।
সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি সব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, নতুন সূচি অনুসারে রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীদের তথ্য অন্তর্ভুক্তি চলবে ২৬ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত। আর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীদের তথ্য অন্তর্ভুক্তি চলবে ২ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত।
আরো পড়ুনঃ আরও ২৩ হাজার স্কুল পাচ্ছে ওয়াইফাই ইন্টারনেট
অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তথ্য আইবাস প্লাস প্লাস ও বিএসিএস স্কিমের প্রস্তুত করা পিইএসপি এমআইএস পোর্টালে এন্ট্রি শুরু হয়েছে, যা ২২ মের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পোর্টালে মা ও বাবার এনআইডির তথ্য বাধ্যতামূল থাকায় তা ভ্যালিডেশনসহ অন্যান্য কারণে প্রথম পর্যায়ের সমস্যা সমাধানে কিছুটা বাড়তি সময় আবশ্যক হওয়ায় আগামী ২৫ মে পর্যন্ত ডাটা এন্ট্রির সময় বৃদ্ধি করা হলো।
অধিদপ্তর আরও বলছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের বিভাগগুলোর ডাটা এন্ট্রি তিন দিন পরে শুরু হয়ে পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশিকা অনুসারে, নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাবেন। বিকাশসহ যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টেই শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা তুলতে পারবেন। উপবৃত্তি কর্মপরিকল্পনা ও বাজেট প্রাক্কলন অনুসারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট ও অডিট অনুবিভাগ অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের নির্ধারিত কোডে টাকা বরাদ্দ করবে। অধিদপ্তর ত্রৈমাসিক চাহিদা মতো কিস্তিভিত্তিক টাকা অবমুক্ত করবে। অর্থ বিভাগ থেকে সময় সময়ে জারি করা জিটুপি পেমেন্ট পদ্ধতি অনুসারে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করা হবে। জিটুপি পেমেন্ট পদ্ধতির সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সমন্বিত ডিজিটাল পদ্ধতির সমন্বয় করা হবে।