ডেস্ক রিপোর্ট,৬ জানুয়ারী ২০২২ঃ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ প্রধান শিক্ষককে (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে উন্নীত করতে নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগে আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আরো পড়ুনঃ প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি ও টাইম স্কেল
প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীর। বর্তমানে তাদের মধ্যে প্রশিক্ষনপ্রাপ্তরা ১১ তম গ্রেডে ও অপ্রশিক্ষিতরা ১২ তম গ্রেডে বেতন পেয়ে থাকেন। তবে এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ ৪৫ জন শিক্ষকের করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন।
হাইকোর্টের রায়ে ৪৫ জন রিট আবেদনকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে উন্নীত করতে এবং দ্বিতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে অফিসিয়াল গেজেটে অন্তভুক্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে। এর শুনানি নিয়ে ওই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
আরো পড়ুনঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টাইম স্কেলের ‘ফাঁদে’ ৪১০০ প্রধান শিক্ষক
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীর হলেও তারা বেতন পান ১১ ও ১২তম গ্রেডে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্য সব সরকারি চাকরিজীবী দশম গ্রেডে বেতন পান।
আরো পড়ুনঃ প্রাথমিক শিক্ষকদের টিফিন ভাতা প্রত্যাহার!
ফলে সরকারি প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা দিলেও তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এ নিয়ে ৪৫ জন শিক্ষক রিটটি করেছিলেন। হাইকোর্ট তাদের দশম গ্রেডে উন্নীত করতে ও দ্বিতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে গেজেটভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে, যা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রইল। ফলে শুধু রিট আবেদনকারী ৪৫ জন তাদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী আর্থিক সুবিধাদি পাবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। সেদিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১ ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে, যা বৈষম্যমূলক দাবি করে প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ ওই রিটটি করেন।