ঢাবি প্রতিনিধি | ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩
রাজধানীসহ সারাদেশের জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী, ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আঁধার দেবী সরস্বতীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গেলো দুই বছর করোনা অতিমারি কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হল মাঠে ঐতিহ্যগত রীতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনুষ্ঠিত থেকে বিরত ছিলো। এবার সেই বিরতির পালে হওয়া লেগেছে, ফিরে পেয়েছে সেই পুরোনো প্রাণ।
জগন্নাথ হলের উপাসনালয়ে প্রধান পূজার পাশাপাশি এবারের পূজা মোট ৭৩টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হয়েছে। হলের মাঠজুড়ে ৭১টি বিভাগ নির্মাণ করা মণ্ডপ। হলের পুকুরে প্রতিবারের ন্যায় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রতিমা ছিল। আর প্রতিবারের ন্যায় চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রতিমা থাকবে। যার উচ্চতা ৩২ ফুট, যা অন্যন্যবারের প্রতিমা থেকে বড়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সকালে দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর, চন্দন দিয়ে স্নান করানো হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় থেকে শুরু হয় বাণী বন্দনা এবং ৮টা ১০মিনিটে পুষ্পাঞ্জলি। সবশেষ সাড়ে ১১টায় প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে পূজার কাজ শেষ হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীর পাশাপাশি রাজধানী বিভিন্ন এলাকা থেকে সরস্বতী ভক্তরা এসেছেন। সঙ্গে পরিবারের ছোট্ট সদস্যটিও বাবা-মার হাত ধরে দেবী দর্শনে এসেছেন। কেউ কেউ চোখ-বন্ধ করে দু’হাত তুলে প্রার্থনা করছেন। আর যপ করছেন, ‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাংদেহী নমোহস্তুতে’ মন্ত্র।
জগন্নাথ হলে রামপুরা থেকে রীতা চক্রবর্তী এসেছেন তার দুই সন্তান রুপম চক্রবর্তী ও রনিত চক্রবর্তীকে নিয়ে। রীতা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম। প্রায়ই পূজাতে আসা হতো, সেই ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে এসেছিলাম। করোনার পর দীর্ঘ ২ বছর পর আবার সেই পূজা, বেশ ভাল লাগছে। আগে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে উপভোগ করতাম, এখন করছি সন্তানদের সঙ্গে।
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ও পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা দৈনিক শিক্ষাবার্তা ডটকমকে বলেন, করোনার পর এবারই প্রথম উৎসাহ-উদ্দীপনা ও পুরোনো আমেজে জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা পালন করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতায় আশা করি একটা সুন্দর পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
জগন্নাথ হলের পাশাপাশি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল এবং কবি সুফিয়া কামাল হলেও পূজামণ্ডপ অনুষ্ঠিত হয়।