প্রধান শিক্ষককে পেটালেন সহকারি শিক্ষক

মেহেরপুর প্রতিনিধি |

প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) কে পেটালেন কম্পিউটারের সহকারি শিক্ষক আইউব আলী। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মেহেরপুর সদর উপজেলার হাতিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও জেএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২রা আগস্ট) কম্পিউটার শিক্ষক বিদ্যালয়ে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত ছিলেন। তার হাজিরা খাতায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত দেখান। এদিকে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আল মামুন ও অফিস সহকারী আশিকুর রহমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে ফরম পুরনের টাকা ব্যাংকে জমাদেন। এতে বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক আইউব আলী ক্ষিপ্ত হন। তিনি বিদালয়ে এসে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও অফিস সহকারী আশিকুর রহমানকে মারধর করে। এ সময় শিক্ষদের উত্তেজনা দেখে কিছু শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ত্যাগ করলে অন্যান্য শিক্ষকরা বিদ্যালয় ছুটির ঘোষণা দেন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, গত তিনদিন প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকায় তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন। গতকাল শিক্ষা অফিসার এসে কম্পিউটার শিক্ষককে বিদ্যালয়ে না পেয়ে তার হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখাতে বললে আমি তাকে অনুপস্থিত দেখাই। আজ বিদ্যালয়ে এসে রফিকুল ইসলাম হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত লেখা দেখে ক্ষিপ্ত হন। আমার কাছে কারণ জানতে চান। এছাড়াও তার অনুমতি ছাড়া ফরম পুরনের টাকা জমা দেওয়া হয়েছে কেন জানতে চেয়ে বকাবকি করতে থাকেন। এক পর্যায় তিনি আমাকে বিদ্যালয়ের চেয়ার তুলে পেটাতে থাকেন।

সহকারি শিক্ষক (কম্পিউটার) আইউব আলী বলেন, ১৩ বছর চাকরি করছি বেতন পাইনা। বিদালয়ের সার্বিক প্রশানিক কাজ হেড মাস্টারকে নিয়ে আমি করে থাকি। বাকি যারা আছে তারা সবাই নিকট আত্মীয়। আমি যে কোন কাজ করলে তারা হিংসায় জ্বলে। আমি ১৫ দিনের জন্য নির্বাচনের ভোটার হালনাগাদ কাজে আছি। এ জন্য গতকাল বিদ্যালয়ে যাইনি। তারা আমাকে অনুপস্থিত দেখিয়েছে। আবার হেড মাস্টার ফরম ফিলাপের দায়িত্ব দিয়েছে আমাকে। কিন্তু এরা আমাকে বাদ দিয়ে ফরম ফিলাপ করেছে। এ ফরম  ফিলাপের ভুল হলে দায় দায়িত্ব কে নেবে। এ কারণে আমার রাগ হয়েছে তাই আমি চেয়ার তুলে টেবিলে মারলে চেয়ারটি ভেঙ্গে যায়। তাছাড়া আমি কাউকে মারিনি।

প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ৩ দিনের ছুটিতে বাইরে আছি। তবে রফিকুল ইসলামকে পিটানোর ঘটনাটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জেনেছি। শনিবারে বিদ্যালয়ে গিয়ে এ বিষয়ে বসা হবে।

সহকারী উপজেলা শিক্ষা আফিসার হোসনে মোবারক বলেন, শিক্ষক আইউব আলী শিক্ষককে পিটিয়ে অন্যায় করেছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।