প্রতিষ্ঠান প্রতি ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা

Image

শিক্ষাবার্তা ডেস্কঃ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৪২টি মাদ্রাসার পক্ষ থেকে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি নিজাম উদ্দিন নামের একজন শিক্ষক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে থেকে জানা গেছে, এমপিও সংক্রান্ত কার্যক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারের প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন হয়। বাউফল উপজেলার অধিকাংশ মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার রয়েছে। তবুও বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। এতে বাধ্য হয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুষ দিয়ে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করে। এছাড়া এমপিও ছাড়পত্র ও উচ্চতর গ্রেড ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন তিনি।

অভিযোগে আরও বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগে তাকে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ না দিলে ফাইল আটকে রাখেন। পাশাপাশি ঘুষ টাকা ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো ফাইল পাঠান না তিনি।

এ বিষয়ে মো. নাজমুল হক বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাছাড়া যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন তিনি কোনো মাদ্রাসার সুপার না। অভিযোগে তার মোবাইল নম্বরও নাই। যখনই আমি মাদ্রাসা পরিদর্শনে যাই তখনই তারা কৌশলে বেনামে এ রকম মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরেন। তাছাড়া যে ৪২টি মাদ্রাসার তালিকা দিয়েছে সেসব মাদ্রাসার কোনো সুপারের স্বাক্ষর নেই। খোঁজ নিয়ে দেখেছি তারা কেউই এই অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহা. মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে দেখব। অভিযোগের সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে না।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন বলেন, আমাদের কাছে কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। যাদের কাছে অভিযোগ করেছেন তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।