জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা। এর আলোকেই ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়। পুরনো আবেদন ও আবেদনে প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রলায়ের তৈরি করা প্রতিবেদনের বিষয়ে এখন সিদ্ধান্ত নেবে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এত দিন পর্যন্ত এসব সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা বোর্ডগুলো দিত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সালমা জাহান স্বাক্ষরিত ১৯শে মার্চের এক চিঠি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠির গায়ে লেখা রয়েছে ৫ মার্চ কিন্তু সালমা জাহান স্বাক্ষর করেছেন ১৯শে মার্চ এবং চিঠিটি গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে ১৯শে মার্চ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ..‘গত ০৯.০৩.২০১৬ তারিখে, সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পন্ন করবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রাপ্ত ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অর্থাৎ নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদান এবং একাডেমিক স্বীকৃতি সংক্রান্ত প্রাপ্ত আবেদন পত্র এবং প্রতিবেদনসমূহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে একাডেমিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে এক হাজার ৩৮টি। আর পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হচ্ছে তিন হাজার ৩২৭। নতুন করে পাঠদানের অনুমতির জন্য আবেদন করেছে শতাধিক এবং একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছে পঞ্চাশের বেশি।