স্বাস্থ্য ডেস্ক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে চলতি বছরে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ৩২ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘দেশে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ায় মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ বেডের আইসিইউ প্রস্তুত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
তবে যখন এই নির্দেশনা জারি করা হয়, তখন সংক্রমণ ছিল ২৮ জেলায়। পরে আরও চার জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
মহাখালীর কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই মুহূর্তে ১৫টি আইসিইউ বেড ও ১০টি সাধারণ বেড প্রস্তুত রাখা আছে। গত সোমবার অধিদপ্তর থেকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের সেবা দেয়ার সময় চিকিৎসকদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোগী দেখার সময় চিকিৎসকদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। রোগী দেখার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। জ্বরের উপসর্গ দেখা গেলে রোগীকে অবশ্যই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখতে হবে। জ্বরের সঙ্গে অজ্ঞান অবস্থা দেখা দিলে রোগীকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখতে হবে। আইসিইউতে থাকাকালে রোগীর পরিচর্যাকারীরা শুধু গ্লাভস ও মাস্ক পরলেই হবে। নিপাহ ভাইরাস রোগীর কাছ থেকে বাতাসে ছড়ায় না। যেহেতু আইসিইউতে রেখে এই রোগের চিকিৎসা করা যায়, সেজন্য রেফার করার প্রয়োজন নেই।
যেকোনো তথ্যের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কল সেন্টারে ১৬২৬৩ অথবা ৩৩৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়।