নারায়ণগঞ্জে হচ্ছে দেশের ৫৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। জাতির পিতার নামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের খসড়াও প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে তোলা হবে। আইনটি সংসদে পাস হলে তারপর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ার পর পাসের জন্য আইনটি সংসদে যাবে। সংসদে উত্থাপনের পর তা পাস হলে নতুন এই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা আসবে। তখন জেলা প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত জমি খুঁজে বের করে তা অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেবে।
আরও পড়ুন: সাত কলেজের ফরম পূরণ: প্রবেশপত্র পাবেন ডাউনলোড করে
প্রণীত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, আচার্য এই আইন ও সংবিধি দ্বারা অর্পিত ক্ষমতার অধিকারী হবেন। সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানের প্রতিটি প্রস্তাবে আচার্যের অনুমোদন থাকতে হবে। আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো ঘটনার তদন্ত করাতে পারবেন এবং তদন্ত প্রতিবেদন আচার্যের কাছ থেকে সিন্ডিকেটে পাঠানো হলে সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আচার্যের কাছে পাঠাবে। এ বিষয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও দেশে আরও নতুন দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
ইতোমধ্যে এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খসড়া আইনের ওপর মতামত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠা হতে যাওয়া বাকি দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো– নাটোরে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।