মুসা মিয়া, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সম্ভাবনাময় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীদের অন্বষণে ব্যাতিক্রম উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছে ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি মোঃ বজলুর রশীদের একান্ত উদ্দোগে ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাংস্কৃতিক মনা শিক্ষার্থীরা যারা রয়েছে তাদের খুঁেজ বের করে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিত্য ও কন্ঠশিল্পীদের অংশগ্রহন একান্ত প্রয়োজন ।
শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুলতান মাহমুদ জানান দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উর্বর ভূমির নাম নবাবগঞ্জ । এ অঞ্চলের ক্ষুদে শিল্পীদের সমন্বয় করে সাংস্কৃতিক মেধা বিকাশের উদ্দেশ্যেই এ প্রায়াশ। আন্ত ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিযোগীদের অংশগ্রহনে বাছাই করা নিত্য ও কন্ঠশিল্পীদের নিয়ে গত ১৮ই নভেম্বর /১৬ দিনব্যাপী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ও শিল্পকলা একাডেমীর কার্যালয়ে প্রতিযোগীদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা সাংস্কৃতিক উৎসবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫শ জন শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহন করে । এর মধ্যে গানে ৩০জনের মধ্যে ১৫জন ও নৃত্যে ৩০জনের মধ্যে ১৫ নির্বাচিত হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও শিল্পকলা একাডেমীর উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য মোছাঃ পারুল বেগম জানান এ উৎসবের কারণে ৯নং কুশদহ ইউনিয়নের ইসলামপুরের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি মোশরেকুল অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়েছেন। নবাবগঞ্জ কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান ক্ষুদে শিল্পীদের খুঁজে আনতে এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবীদার । কেন্দ্রীয় বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহববুর আলম ও ক্লাব ও লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরহাদ হোসেন চৌধুরী জানান আসলে সমাজে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মূল্যায়ন করা না হলে এ অঙ্গনের মূল্য থাকবেনা । এভাবেই সম্ভাবনাময় সাংস্কৃতিক চৌকশ একটি দল বের হয়ে আসতে পারে। উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান মিলন জানান দীর্ঘদিন থেকে উপজেরা শিল্পকলা একাডেমী ঝিমিয়ে পড়েছিল বর্তমান নির্বাহী অফিসার মোঃ বজলুর রশীদ যোগদান করার পর সাংস্কৃতিক অঙ্গন চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
by