নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, আগের মতো পরীক্ষা আর হবে না। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে বসতে হবে।
রোববার (৩ মার্চ) নিজ দপ্তরে আলাপকালে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে ফের পরীক্ষা পদ্ধতি যুক্ত করা হবে। তবে এই পরীক্ষা বর্তমানে প্রচলিত প্রথাগত পরীক্ষার মতো হবে না। সামষ্টিক মূল্যায়নে লিখিত পরীক্ষা যুক্ত করার পাশাপাশি ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপের মাধ্যমে তৈরি রিপোর্ট কার্ডের ভাষা ও মাঠপর্যায়ে পাঠানো নির্দেশনাগুলো আরও সহজ করা হবে, যাতে তা সবার কাছে বোধগম্য হয়।
মূল্যায়নপদ্ধতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগ রয়েছে। মূল্যায়নের চূড়ান্ত দিনে যেন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হয় সে বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে কিছু একটা কাজ করতে দেওয়া হবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে যাই করতে হোক না কেন, এর জন্য কোনো নম্বর থাকবে। প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রেই এমন মূল্যায়ন করা হবে। এটি করা হবে প্রমাণ রাখার জন্য। তবে এর ওয়েটেস থাকবে। অর্থাৎ কত শতাংশ ওয়েটেস এটা ক্যারি করবে তা নির্ধারণ হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয় নতুন শিক্ষাক্রম। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে।