নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ এপ্রিল, ২০২০
নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদন প্রচলিত নিয়মে মানে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্কুল ও কলেজের তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠানো হয়েছে। এখন কোড নম্বর দেয়া হবে। কোড নম্বর পেলেই আবেদন করতে পারবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ। এখন প্রজ্ঞাপন জারির জন্য অপেক্ষা। ছুটির সময়েও আমরা কিছু গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করে রাখছি। যাতে দ্রুততম সময়ে সব কাজ শেষ করা যায়। প্রজ্ঞাপন জারির পর স্বাভাবিক নিয়মেই শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তবে সব কাজ যেন দ্রুততম সময়ে শেষ হয় সে ব্যাপারে সবাইকে অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
প্রায় ১০ বছর এমপিওভুক্তি বন্ধ থাকার পর গত ২৩ অক্টোবর নতুন দুই হাজার ৭৩০টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী, যা গত জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। তবে এখনো সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্তির সুবিধা পাননি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, ‘চলতি অর্থবছরের মধ্যেই যেন শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পান সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। ছুটির মধ্যেও নতুন এমপিওভুক্তি নিয়ে কাজ চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোড নম্বরসহ অনলাইনের কাজগুলো করা হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে অনলাইনে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওসংক্রান্ত কাগজপত্র প্রতিষ্ঠান প্রধান অনলাইনে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আপলোড করবেন। এরপর তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যাচাই শেষে পাঠাবেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। তিনি সন্তুষ্ট হলে সেই নথি পাঠাবেন আঞ্চলিক উপপরিচালকের কাছে। উপপরিচালক তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এমপিওসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপস্থাপন করবেন। প্রত্যেক বিজোড় মাসের সভায় তা চূড়ান্ত হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এভাবে শিক্ষকদের চার ঘাটে ধরনা দিতে হবে। ঘুষ ছাড়া বেশির ভাগ শিক্ষকই কোনো অফিস থেকে কাগজ ছাড় করতে পারেন না। ফলে চলতি অর্থবছরে সব শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্ত হওয়াটা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ নির্দেশনা ছাড়া এই কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। আর এই এমপিও শেষ না হলে আগামী অর্থবছরে নতুন এমপিওভুক্তির কাজও ধরা সম্ভব হবে না।
তবে শিক্ষাসচিব বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে নতুন এমপিওভুক্তির কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’