ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনায় পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর শিক্ষাকেন্দ্র ও শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উপদ্রুত এলাকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শনিবার (১৩ মে) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।
আরো পড়ুন: মাধ্যমিকে অর্ধবার্ষিক, প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু ৭ জুন
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা বা বন্ধ রাখার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
তিনি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন। মহাপরিচালক এ ব্যাপারে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
জনসংযোগ কর্মকর্তা আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে এমন উপকূলীয় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ সংশ্লিষ্টদের স্কুলগুলো বন্ধ বা খোলা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ ঝড়ের মধ্যে কত দিন বন্ধ রাখা যাবে তা এখনই তো বলা যাচ্ছে না।
এর আগে আজ সন্ধ্যায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে রবিবার (১৪ মে) সংশ্লিষ্ট চার অঞ্চলের সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুর রহমান খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, যশোর শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন জেলাগুলোর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রবিবার বন্ধ থাকবে। এই চার শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন জেলাসমূহে তার কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ রোববার বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো