তিন প্রকৌশল গুচ্ছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ রবিবার ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এই তিন বিশ্ববিদ্যালয় হল- চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)।
ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সংরক্ষিত আসনসহ চুয়েটের ৯৩১টি, কুয়েটের ১ হাজার ৬৫টি এবং রুয়েটের ১ হাজার ২৩৫টিসহ সর্বমোট ৩ হাজার ২৩১টি আসনের বিপরীতে মোট ২২ হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। সে হিসেবে প্রতি আসনের জন্য লড়াই করবেন প্রায় ৭ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
‘ক’ গ্রুপে (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ) মোট ২০ হাজার ৭৬০ জন এবং ‘খ’ গ্রুপে (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ) মোট ২ হাজার ১০৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন।
এবারে চুয়েট কেন্দ্রে ৭৬২৮ জন, কুয়েট কেন্দ্রে ৭৬১৮ জন এবং রুয়েট কেন্দ্রে ৭৬২২ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। রুয়েটের পুরকৌশল অনুষদের ডিন ও স্থানীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান রিপন জানান, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ‘ক’ (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ) এবং ‘খ’ গ্রুপের (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ) অধীনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক কামরুজ্জামান জানান, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পরে পরীক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। পরীক্ষা চলাকালে ভর্তি কমিটির অনুমোদিত ক্যালকুলেটর ছাড়া মোবাইল ফোন, জ্যামিতি বক্সসহ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবে না।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজি বিষয়ের উপর এমসিকিউ পদ্ধতিতে ‘ক’ গ্রুপের জন্য ৫০০ নম্বরের এবং ‘খ’ গ্রুপের জন্য ৫০০ নম্বরের এমসিকিউর পাশাপাশি অতিরিক্ত মুক্তহস্ত অঙ্কনের ২০০ নম্বরসহ মোট ৭০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে ১৮ মার্চ রাত ১০টায়।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক কমিটির সভাপতি চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল বলেন, ইতিমধ্যে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সকল সেবা প্রদান করা হবে। আশা করছি যারা আবেদন করেছে সবাই নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।