নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মারকগ্রন্থে জিয়াউর রহমান হলের বর্ণনায় লেখা হয়েছে, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি।
স্মারকগ্রন্থের ১৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘স্মৃতি অম্লান’ শিরোনামে লেখা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর বিবরণীর জিয়াউর রহমান হলের অংশে লেখা হয়, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। এটি লেখেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন ও শোভাযাত্রা শেষে টিএসসিতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বিষয়টির প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই সদস্য সুভাষ সিংহ রায়। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রসপেক্টাসটি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
এছাড়া স্মারকগ্রন্থের ১৩ নং পৃষ্ঠায় জগন্নাথ হলের বর্ণনায় লেখা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তথা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায় এবং উপজাতি ছাত্রদের জন্য এই হল প্রতিষ্ঠিত।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে তিনিই সেনাপ্রধান করেন। পরে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্যে ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন জিয়া।
গতবছরের নভেম্বরে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও সংসদীয় বোর্ডের জরুরি সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, জিয়াউর রহমান এবং এইচ এম এরশাদকে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলা যাবে না।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের স্পষ্ট রায় আছে, জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল সম্পূর্ণ অবৈধ। এরশাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ। তাই পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল ঘোষিত হয়েছে। তার মানে, জিয়াউর রহমানকে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলা যাবে না। যদি রাষ্ট্রপতি বলা হয়, তাহলে হাইকোর্টের রায়কে লঙ্ঘন করা হবে।