আগামী ১ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে আসন সংখ্যা ১৭৯৫টি। বিজ্ঞানের এই ইউনিটে মূলত পদার্থ ও রসায়ন বাধ্যতামূলকভাবে উত্তর করে শিক্ষার্থী চাইলে ঔচ্ছিক বিষয়ের পরিবর্তে বাংলা/ ইংরেজিসহ সর্বমোট ৪টি বিষয়ে উত্তর করতে পারবে।
•ভর্তি পরীক্ষার মান ও সময় বন্টন:
এমসিকিউ (MCQ): ৬০ নম্বর, সময়: ৪৫ মিনিট
বিষয়ভিত্তিক নম্বর-১৫, প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে।
লিখিত পরীক্ষা: ৪০ নম্বর, সময়: ৪৫ মিনিট
বিষয়ভিত্তিক নম্বর-১০, প্রতিটি প্রশ্নের মান (২-৫) এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
• পাস নম্বর:
MCQ অংশে পাশ নম্বর :২৪
MCQ পরীক্ষায় ২৪ নম্বর পেলেই কেবল লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের মূল্যায়নের জন্য বিবেচিত হবে। তবে MCQ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে ‘ক’ ইউনিটের মোট আসনের কমপক্ষে ৫ গুণ লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে।
লিখিত পরীক্ষায় পাশ নম্বর: ১২
১০০ নম্বরের পরীক্ষায় MCQ ও লিখিত পরীক্ষায় মোট পাশ নম্বর ৪০। যারা ৪০ এর কম নম্বর পাবে তাদেরকে ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে না।
• মেধাস্কোর:
ভর্তি পরীক্ষার নম্বর-১০০
মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল- জিপিএ-৫ ×২=১০
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল- জিপিএ-৫×২=১০
সর্বমোট: ১২০ নম্বর
এইচএসসি-২০ ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘ এই করোকালীন সময়ে ধৈর্য ধরে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছে। অবশেষে স্বপ্ন পূরনের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ চলে আসছে। পরিশ্রমের ফসল ঘরে তোলার সময় এসেছে।এই দীর্ঘ পথচলার শেষ সময় আরো বেশি কষ্টের এবং গুরুত্বপূর্ণ। একজন ছাত্রের চান্স পাওয়া মূলত এই শেষ সময়ের প্রস্তুতির উপর নির্ভর করে। কথায় আছে- “শেষ ভালো যার, সব ভালো তার”।
আরো পড়ুনঃ ৮৪১ জন তৃতীয় শিক্ষকের এমপিওভুক্তি
শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ এই প্রস্তুতির সময় অনেক চড়াই উতড়াই পার করেছে। কিন্তু চান্স পাওয়া নির্ধারিত হবে মূলত এই শেষ সময়, কে কতটুকু গোছালো ভাবে, কৌশলগতভাবে রিভিশন দিবে।
এই শেষ সময় ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকই অনেক চিন্তিত থাকে, পড়াশোনা এলোমেলো করে পেলে। অথচ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো মাথা ঠান্ডা রেখে, পুরোনো পড়াগুলো বারবার রিভিশন দেওয়া। যে যত গোছালো ভাবে রিভিশন, তার চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে।
জীববিজ্ঞান সাবজেক্ট ভালো করার জন্য মূলত প্রাণিবিজ্ঞানের গাজী আজমল স্যারের বই এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞানের আবুল হাসান স্যারের বই দুইটা পড়লেই পূর্ণপ্রস্তুতি হয়ে যায়।
লিখিত অংশের জন্য বিভিন্ন পার্থক্য, শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য, তাৎপর্য, গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নামগুলো পড়তে হবে ভালো করে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো পরীক্ষা হলে কাটানো ৯০ মিনিট। এই সময় অনেক ছাত্রছাত্রী ভয় পায়, চিন্তিত থাকে, অনেক প্রেসার নিয়ে ফেলে। এই চাপ, চিন্তা ভয়গুলো আসাটাই স্বাভাবিক। তবে চেষ্টা করতে হবে যতটুকু সম্ভব মাথা ঠান্ডা রাখা। অনেকে প্রশ্ন পেয়ে তাড়াহুড়ো করে ওএমআর ফর্ম এর তথ্যগুলো প্রদানের সময় ভুল করে পেলে। কেউ এক বিষয়ের নির্ধারিত জায়গায় অন্য বিষয় দাগিয়ে পেলে। এই সব জিনিস ধীরস্থিরভাবে, সুন্দরভাবে পূরণ করতে হবে। টাইম ম্যানেজমেন্ট করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আগে থেকেই ঠিক করে রাখা উচিত কোন বিষয়ের পর কোন বিষয়ের উত্তর প্রদান করবে এবং কতটুকু সময় নিবে সর্বোচ্চ একটা নির্ধারিত বিষয়ের জন্য। আর সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত ধীরস্থির থাকতে হবে। তোমাদের সার্বিক সুস্থ্যতা এবং শুভকামনা জ্ঞাপন করছি।