ঢাবির ক্যান্টিনের খাবারে মাছি, কর্মচারীর মাথা ফাটালেন ছাত্রলীগ নেতা

Image

ঢাবি প্রতিনিধি | ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ক্যান্টিনে খাবারে মাছি পড়াকে কেন্দ্র করে এক কর্মচারীর মাথা ফাটিয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। খাবারের বাটি ছুঁড়ে মেরে তিনি কর্মচারীর মাথা ফাটিয়েছেন। তবে বিষয়টি ইচ্ছাকৃত না বলে দাবি করেছেন তিনি। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম শোয়াইব আহমেদ খান প্রান্ত। তিনি শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি। আহত ক্যান্টিন কর্মচারীর নাম কাওসার আহমেদ তানিক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের খাবার খেতে গিয়ে তরকারিতে মাছি পেলে ক্যান্টিনের ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে খাবারের বাটি ছুঁড়ে মারেন ছাত্রলীগ নেতা প্রান্ত। এসময় ছুঁড়ে মারা বাটি গিয়ে লাগে সেখানে বসে থাকা তানিকের মাথায়। এতে তার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) পাঠানো হয়। এসময় ক্যান্টিনে খাবার সরবরাহ সাময়িক বন্ধ ছিলো। পরে হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ভুক্তভোগী তানিম দৈনিক শিক্ষাবার্তা ডটকমকে বলেন, আমি সেই সময় ক্যাশে বসে ছিলাম। প্রান্ত ভাই ক্যান্টিনের খাবার নিয়ে ক্যান্টিনের পাশে দোকানের সামনে খাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে এসেই খাবারের বাটি ছুঁড়ে মারেন। এতে আমার মাথা ফেটে রক্ত বের হওয়া শুরু করে।

এদিকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করেননি দাবি করে ছাত্রলীগ নেতা শোয়াইব আহমেদ খান প্রান্ত দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, খাবারে মাছি দেখে আমি খাবার ছুঁড়ে মেরেছি। তবে তার মাথায় আঘাত করার জন্য আমি বাটি ছুঁড়িনি। এমন দুর্ঘটনার ঘটবে তা আমি বুঝে উঠতে পারিনি। পরে অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে আমি ক্ষমা চেয়েছি।

এদিকে অভিযুক্ত প্রান্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা। তিনি দৈনিক শিক্ষাবার্তা ডটকমকে বলেন, প্রান্ত যে কাজটি করেছে তা অন্যায়। আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে দিয়েছি। তানিকের চিকিৎসার খরচ আমরা হল শাখা ছাত্রলীগ দেবে। প্রান্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম বলেন, আমি হলের বাইরে আছি। ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। সুষ্ঠু তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।