দুশ্চিন্তায় বিশ্বভারতীর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

bissawvarotiডেস্ক: সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় বাংলাদেশি নাগরিকসহ বহু বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং ছয় জঙ্গিও নিহত হয়েছে। ওই ঘটনায় বিশ্বজুড়েই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে শান্তিনিকেতনে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরাও গুলশান ট্রাজেডির পর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তবে একই সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোট বাঁধার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। প্রতি বছর বিশ্বভারতীতে পড়তে যাচ্ছে বহু বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় জন্মভূমিতে লাল সতর্কতা জারি হওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছেন তারা।

তবে এমন দুর্দিনে তাদের ভরসা জোগাচ্ছেন বিশ্বভারতীর শিক্ষক, কর্মচারী এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও।  বিশ্বভারতীর ভারপ্রান্ত উপাচার্য স্বপনকুমার দত্ত বলেন , বাংলাদেশের ঘটনা ভীষণ উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। আমরা সবাই বাংলাদেশের সঙ্গে আছি এবং থাকব। সে দেশ থেকে যারা আমাদের এখানে পড়তে এসেছেন তাদের পাশে আমরা সবাই আছি।

বিশ্বভারতীতে এখন ভর্তির মওসুম। কেউ নতুন ভর্তি হয়েছেন আবার কেউ আগে থেকেই এখানে আছেন। এর মধ্যে সঙ্গীত ভবনে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। জঙ্গি হামলার খবর পাওয়া মাত্র বাড়িতে ফোন করেছেন তারা। আর তাদের ভারতীয় সহপাঠীরা হামলার খবর পেয়েই ছুটে এসেছেন তাদের ঘরে খোঁজ নিতে।

তিন বছর ধরে শান্তিনিকেতনে পড়াশুনা করছেন বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার মহুয়া মঞ্জরী। তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীতের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে ছাত্রী। ওই হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা খুবই চিন্তিত। বাংলাদেশে নানা সঙ্কট এসেছে। তবে এবারের সঙ্কট খুব ভয়াবহ।  আমাদের ভয় পাইয়ে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আমরা নতুন প্রজন্ম এতে ভীত নই৷ আমরা এই লড়াইয়ের মোকাবিলায় জোট বাধছি।

বিশ্বভারতীর ইংরেজিতে স্নাতক পড়ছেন এমন এক ছাত্রী বলেন, গুলশন চত্বরেই ভারতীয় দূতাবাস। সেখানেই আমরা ভিসা করাই। আর ওই চত্বরেই এত মানুষকে খুন করেছে জঙ্গিরা। এটা ভেবেই শিউরে উঠেছি। কলাভবনের বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ছাত্রী বলেন, আমরা খুবই  আতঙ্কিত। কারণ দেশে এর আগে এধরনের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।