জেএসসি পরীক্ষায় গাইড থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্র প্রণয়নের ঘটনায় ৫ শিক্ষক দায়ী। এদের মধ্যে একজন প্রশ্ন প্রণয়নকর্তা। বাকি চারজন পরিশোধনকারী। ৫ জনের চারজনই বিভিন্ন সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক। আরেকজন একটি ক্যাডেট কলেজের সহকারী অধ্যাপক। দায়ীদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে শোকজসহ আর কী ব্যবস্থা নেয়া যায় তা পর্যালোচনা চলছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রশ্নপত্রটির একমাত্র প্রণয়নকারী হলেন ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল ওয়াহাব। পরিশোধনকারীরা হলেন- কুমিল্লা জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক রিক্তা বড়–য়া, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিন, চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসিমা খানম এবং নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামীম আক্তার।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল খালেক বলেন, ‘আমরা মনে করি শুধু প্রশ্ন প্রণয়ন কর্তাই নন, পরিশোধনকারীরাও সমান দায়ী। কেননা, প্রশ্নপত্র পরিশোধন বা দ্বিতীয় গেট রাখাই হয়েছে প্রণয়নকারীর সার্বিক ভুলভ্রান্তি ধরার জন্য। তারা যেহেতু এটা ধরেননি বা ধরতে পারেননি, তাই তাদেরও এ অপকর্মের দায় নিতে হবে। তবে আমরা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত করিনি যে, গাইড থেকে প্রশ্ন সেট করার পেছনে মূল দায়ী কে বা কারা। আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।’
মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে প্রাথমিকভাবে শোকজ করা হতে পারে। পরবর্তী সময় বিভাগীয় মামলা এমনকি সাময়িক বরখাস্তের মতো ব্যবস্থাও আছে। তবে ঠিক কী পদক্ষেপ নেয়া হবে তা রোববার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত করা হবে।