জুতা পিটুনির শিকার সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

Image

মণিরামপুরে অবশেষে আলোচিত সেই জুতা পিটুনির শিকার প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জণ রায় (৪৫) এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আদালতে। একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) সালেহা খাতুন লতা বাদী হয়ে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত দমন ট্রাইব্যুনাল-২ যশোরে মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহার রঞ্জন রায় যশোরের মণিরামপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। একই বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক সালেহা বেগম লতা। বাদীর অভিযোগ প্রধান শিক্ষক তাকে দীর্ঘদিন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজী না হওয়ায় বিভিন্ন তালবাহান শুরু করেন। একপর্যায় ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ডিসেম্বর দুপুরে বিদ্যালয় চলাকালীন প্রধান শিক্ষককের কক্ষে গেলে তাকে জাপটে ধরেন। একপর্যায়ে নিজেকে রক্ষা করতে আত্মচিৎকারসহ ওই প্রধান শিক্ষককে জুতা পিটুনি দিয়ে লাঞ্চিত করে বাদী সালেহা খাতুন লতা।

আরো পড়ুন: জবিতে র‍্যাগিং ও যৌন হয়রানির দায়ে ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

এ ঘটনার বিচার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন সালেহা খাতুন লতা। এতে বিভিন্ন ভাবে মিমাংসার অজুহাত ধরে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে আসছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো। এরই মধ্যে বাদী থানায় মামলা করতে গেলে থানার ওসি তাকে আদালতে মামলা করার পরার্মশ দেন।

বাদী আইনজীবী শেখ তাজ হোসেন তাজু এ প্রতিবেদককে জানান, বিজ্ঞ বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদক দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার দৈনিক শিক্ষাবা্র্তা ডটকমকে বলেন, মামলা সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। তবে, ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাকে অহেতুক বরখাস্ত রাখাসহ বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে একটা বিরোধ চলছে বলে তিনি জানান

বাদী সালেহা খাতুন লতা দৈনিক শিক্ষাবার্তা ডটকমকে জানান, ঘটনার পর ন্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করা হলেও কোনো সমাধান তো করেননি উল্টো আমাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন ভাবে হেনেস্তা করতে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জনের বিরুদ্ধে এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় একাধীক সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।