নিজস্ব প্রতিবেদক: জাল-জালিয়াতির কারণে ইতোমধ্যে ২ হাজার ৪শ’ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে। আরো তদন্ত চলছে যারা মুক্তিযোদ্ধার নামে অসাধুতার মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সব কথা জানিয়েছেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, জাল-জালিয়াতি বন্ধের লক্ষ্যে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে নতুন করে ডিজিটাল সনদ পত্র ও পরিচয় পত্র প্রদানসহ বিশেষ নাগরিকের মর্যাদা দেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ‘ওয়ার হিরো’ খেতাব দিয়ে বিশেষ নাগরিকের মর্যাদা দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর পর দেশের সব এলাকায় একই ডিজাইনের কবরে তাদের দাফন করার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হবে। আগামী বছরের মার্চ মাস থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান।
গত ৪৪ বছরে প্রায় ২৮ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত হয়েছেন। দেশে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা জীবিত রয়েছেন। এরমধ্যে ১৯৭১ সালের ভারতীয় তালিকার সাথে বাংলাদেশের তালিকা যাচাই-বাছাই করে সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। হাইকোর্টে একটি মামলার কারণে তালিকা ছুড়ান্তকরণের কাজ বিঘিœত হচ্ছে বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধার নামে আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা লিখার জন্য আইন প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া,দেশের প্রতিটি এলাকায় যেখানে সম্মুখ যুদ্ধ ও গণকবর রয়েছে সেখানে স্মৃতি সৌধের পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘৃণা জানাতে ঘৃণা স্তম্ভ তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসিক পল্লী তেরি করার জন্য বিশেষ কর্মসূচি ও প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকার একটি আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬৪ টি জেলায় এবং ৩শ’২২টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিজস্ব কমপ্লেক্সে তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে সকল মুক্তিযোদ্ধা ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। সকল মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা সেবা ফ্রি করা হচ্ছে। সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় ফ্রি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বিশেষ ফ্রি কোটা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আগামীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সকল ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে বলে তিন উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, পাঠ্য পুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস লেখার পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের ভূমিকাসহ রাজাকার আলবদর আল শামসের নামও প্রকাশ করা হবে। রাজাকারের তালিকা প্রস্তুতের জন্য শিগগিরই তথ্য সংগ্রহ করে চুড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষে তাদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। তিনি বলেন, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংঙ্গীত ও জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য সব সময়ই মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নেয়ার জন্য তাগিদ দেন বলে মন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু পার্কটি পাশের রমনা উদ্যানে স্থানান্তর করা হবে। বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত মহান স্বাধীনতা স্তম্ভকে আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে তৈরি করার লক্ষ্যে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
আ ক ম মোজাম্মেল হক ১৯৭১ সালের ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধের জয়দেবপুরে নেতৃত্ব দেন এবং বিজয় দিবসের একদিন আগে ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর জয়দেবপুরের মালেকের বাড়ি এলাকায় প্রচন্ড যুদ্ধেঅংশ নেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের আগে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ৬দফা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে বিরাট ভূমিকা রাখেন। তিনি সেই সময় সংগ্রাম কমিটির জয়দেবপুরের আহবায়ক হিসেবে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলেন। – See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2015/12/17/302928#sthash.XYSMcXvV.dpuf
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সব কথা জানিয়েছেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, জাল-জালিয়াতি বন্ধের লক্ষ্যে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে নতুন করে ডিজিটাল সনদ পত্র ও পরিচয় পত্র প্রদানসহ বিশেষ নাগরিকের মর্যাদা দেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ‘ওয়ার হিরো’ খেতাব দিয়ে বিশেষ নাগরিকের মর্যাদা দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর পর দেশের সব এলাকায় একই ডিজাইনের কবরে তাদের দাফন করার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হবে। আগামী বছরের মার্চ মাস থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান।
গত ৪৪ বছরে প্রায় ২৮ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত হয়েছেন। দেশে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা জীবিত রয়েছেন। এরমধ্যে ১৯৭১ সালের ভারতীয় তালিকার সাথে বাংলাদেশের তালিকা যাচাই-বাছাই করে সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। হাইকোর্টে একটি মামলার কারণে তালিকা ছুড়ান্তকরণের কাজ বিঘিœত হচ্ছে বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধার নামে আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা লিখার জন্য আইন প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া,দেশের প্রতিটি এলাকায় যেখানে সম্মুখ যুদ্ধ ও গণকবর রয়েছে সেখানে স্মৃতি সৌধের পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘৃণা জানাতে ঘৃণা স্তম্ভ তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসিক পল্লী তেরি করার জন্য বিশেষ কর্মসূচি ও প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকার একটি আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬৪ টি জেলায় এবং ৩শ’২২টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিজস্ব কমপ্লেক্সে তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে সকল মুক্তিযোদ্ধা ১০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। সকল মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা সেবা ফ্রি করা হচ্ছে। সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় ফ্রি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বিশেষ ফ্রি কোটা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আগামীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সকল ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে বলে তিন উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, পাঠ্য পুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস লেখার পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের ভূমিকাসহ রাজাকার আলবদর আল শামসের নামও প্রকাশ করা হবে। রাজাকারের তালিকা প্রস্তুতের জন্য শিগগিরই তথ্য সংগ্রহ করে চুড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষে তাদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। তিনি বলেন, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংঙ্গীত ও জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য সব সময়ই মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নেয়ার জন্য তাগিদ দেন বলে মন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু পার্কটি পাশের রমনা উদ্যানে স্থানান্তর করা হবে। বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত মহান স্বাধীনতা স্তম্ভকে আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে তৈরি করার লক্ষ্যে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
আ ক ম মোজাম্মেল হক ১৯৭১ সালের ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধের জয়দেবপুরে নেতৃত্ব দেন এবং বিজয় দিবসের একদিন আগে ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর জয়দেবপুরের মালেকের বাড়ি এলাকায় প্রচন্ড যুদ্ধেঅংশ নেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের আগে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ৬দফা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে বিরাট ভূমিকা রাখেন। তিনি সেই সময় সংগ্রাম কমিটির জয়দেবপুরের আহবায়ক হিসেবে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলেন। – See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2015/12/17/302928#sthash.XYSMcXvV.dpuf