জাবি প্রতিনিধি,২৩ মে ২০২৩: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সহপাঠীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক জেবউন্নেসা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরো পড়ুন: জাবির ভর্তি পরীক্ষা পেছাবে!
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম হাসান মো. মুবাশ্বির ফাহিম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীও একই বিভাগ ও বর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ১৭ এপ্রিল বিকেলে ভুক্তভোগী ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে একটি স্টোরি শেয়ার করেন। স্টোরিতে একটি লিংক দেয়া ছিল যেটিতে ক্লিক করে পরিচয় গোপন রেখে পরবর্তীতে মেসেজ পাঠানোর সুযোগ থাকে। তবে অভিযুক্ত হাসান মো. মুবাশ্বির ফাহিম পরিচয় গোপন না করে স্টোরির রিপ্লাই দিয়ে মেসেজ পাঠান। মেসেজটি শুধু যৌন ইঙ্গিতপূর্ণই নয়, পাশাপাশি কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক।
শিক্ষার্থীরা জানান, ফাহিমের মেসেজটির লিংকে গিয়ে দেখা যায়, পরিচয় গোপন করে মেসেজটি পাঠানো ছিল না। বরং ইনস্টাগ্রামের স্টোরির রিপ্লাই দেয়া হয়েছিল। তাই ফাহিমের পরিচয়সহ মেসেজটি ভুক্তভোগীর আইডিতে আসে।
এ ব্যাপারে অন্য সহপাঠীরা ফাহিমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি দোষ স্বীকার করেন।
ফাহিমের দাবি, তিনি মজা করে মেসেজটি দিয়েছিলেন। এ রকম মেসেজ তিনি আরও অনেককেই দিয়ে থাকেন বলে জানান।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘অভিযুক্তের কাছ থেকে এ রকম হেনস্তাকর মন্তব্যের সম্মুখীন হওয়া আমার জন্য হুমকিস্বরূপ। অভিযুক্ত যেহেতু বলেছেন, তিনি এমন বার্তা অনেককে পাঠান, সেহেতু আমার অন্য সহপাঠীরাও তার সঙ্গে ক্লাস করতে বা পরীক্ষা দিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’
অভিযুক্ত হাসান মো. মুবাশ্বির ফাহিম বলেন, ‘ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অ্যানোনিমাস যে লিংক শেয়ার করা হয়েছে, ওখানে রিপ্লাই না দিয়ে ভুলক্রমে মেসেজের রিপ্লাই দিয়ে ফেলি। এ জন্য ওর কাছে আমার পরিবারসহ গিয়ে ক্ষমা চাই। কিন্তু যেহেতু যৌন নিপীড়ন সেলে অভিযোগ চলে গিয়েছে, তাই ওখানে গিয়ে কথা বলতে হবে।’
এ বিষয়ে অধ্যাপক জেবউন্নেসা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে উপাচার্য স্যার তদন্তের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। শিগগিরই তদন্ত কাজ শুরু হবে।’