জাবিতে মধ্যরাতে উপাচার্য ভবনের সামনে ছাত্রীদের বিক্ষোভ

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

নতুন হলে সিট বরাদ্দ সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তা আটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

আরো পড়ুন: জাহাঙ্গীরনগরে ষষ্ঠ সমাবর্তনের তারিখ ঘোষনা

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যান শিক্ষার্থীরা। ওই সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।

পরে আজ শনিবার ভোর ৪টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। এ সময় নতুন হলের নাম ‘ফজিলাতুন্নেছা’ করা, লটারির মাধ্যমে হলে সিটবণ্টন, সিটের ক্ষেত্রে ফজিলাতুন্নেছা হলের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া, রাজনৈতিক ব্লক না রাখাসহ চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার ইতি বলেন, ‘আমাদের বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও হল শিফটিংয়ের ক্ষেত্রে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান দেওয়া হয়নি। নতুন হলে ফজিলাতুন্নেছা হলের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীদের আগে নতুন হলে ওঠানো হবে। এটি আমাদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।’
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সবাইকে একসঙ্গে হলে ওঠাতে হবে এবং নতুন হলের নাম ‘ফজিলাতুন্নেছা’ করতে হবে।”

ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘আগামীকাল শিক্ষার্থীদের হল শিফট করার কথা। এক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে কক্ষ বণ্টন হবে। যাদের নাম তালিকায় এসেছে, তাদের সবাইকে স্থানান্তর করা হবে। এ আন্দোলন অমূলক।’

উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘ফজিলাতুন্নেছা হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আজই তাদের হল শিফটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। লটারির মাধ্যমে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে। হলে কোনো রাজনৈতিক ব্লক থাকবে না। আমাদের কাছে সব শিক্ষার্থী সমান। নতুন হলের নামকরণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।’

এদিকে গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ও ২১ নম্বর হলের বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করাসহ চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঠিকাদারের কাজ বন্ধ করে দেন শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় হল ছাত্রলীগের নেতৃত্বে হলের রাস্তার নির্মাণকাজ বন্ধ করে সাড়ে চার ফুট উঁচু স্থায়ী ব্যারিকেড নির্মাণ করেন তারা

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।