চাকরিপ্রার্থীদের মহাসমাবেশে বয়স ৩৫ করার দাবি

Image

শর্ত সাপেক্ষে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদায় না হলে শাহবাগে মহাসমাবেশ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

মঙ্গলবার (সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে এমন ঘোষণা দেন তারা। সেমিনারটি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ন্যূনতম ৩৫ বছর (শর্ত সাপেক্ষে উন্মুক্ত) করার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। বর্তমানে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে একটি বৈষম্য রয়েছে এই বৈষম্য দূর করা আবশ্যক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টানিং পয়েন্টের পরিচালক শাহিনুজ্জামান শাকিল, এবি পার্টির যুগ্ন সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ভাষানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ন আহ্বায়ক লায়ন নুরুজ্জামান, ক্যারিয়ার ম্যাপের সিইও জসিম, জব মেডিসিনের পরিচালক মুমিনুল, সাইদুল প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের সব পর্যায়ে চাকরিতে আবেনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়, যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিলো ৫৭ বছর। বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর বিধায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক। গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি না করে সেটি ৩০ বছরেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়, যার কারণে দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আরো পড়ুন: শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য ও হেনস্তা নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

এ ছাড়াও কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় আড়াই বছর যাবৎ তেমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি বা নিয়োগ পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়নি। উপরন্তু, লকডাউন উঠিয়ে নেয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে ১০-১৫ টি বা ততোধিক পরীক্ষা একই দিনে, একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার ফলস্বরূপ পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অসংখ্য চাকরিপ্রত্যাশী। কোভিড-১৯ এর শুরুতে যারে বয়স ২৭-২৯ বছর ছিলো তাদের বয়স এখন ৩০ বা ততোধিক। ফলে চাকরি প্রার্থীরা বাস্তবিক অর্থে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ৩০ বছরের পরিবর্তে ২৭ বছর ৬ মাস পেয়েছে। কেভিড-১৯ এর কারণে বিগত সরকার কিছু চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য ৩৯ মাসের একটি ব্যাকডেট পেয়ে সাধারণ চাকরি প্রত্যাশীদের মাঝে একটি বৈষম্য সৃষ্টি করে, যার ফলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত চাকরি প্রত্যাশীরা বৈষম্যর শিকার হয়।

বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুবনীতিতে ১৮ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত অনুসরণ করা হয়। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় যুবনীতিতে ৩৫ বছর পর্যন্ত বিবেচনা করা হলেও বর্তমান উচ্চ শিক্ষিত চাকরি প্রত্যাশীদের ৩০ বছরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।