চবি প্রতিনিধি: আধিপত্য বিস্তার এবং রুম দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। অনির্দিষ্ট৷ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া গ্রুপটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অনুসারী বলে পরিচিত।
সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হলেও এখন পর্যন্ত মোট আহত শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানা যায় নি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া একপক্ষ আলাওল হল ও স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে এবং অপরপক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলের অবস্থান করছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ক্যাম্পাসে পুলিশ অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনা শুনার সাথে সাথেই পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ সবাইকে যার যার হলে পাঠিয়ে দিয়েছে।
আরো পড়ুন:কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ফাঁস ক্যাম্পাস ছাড়লেন ইবি ভিসি
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও থেমে নেই বগিভিত্তিক উপগ্রুপগুলো। এমনকি আধিপত্য বিস্তার এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাকে কেন্দ্র করে এসকল উপগ্রুপেও বিভাজন দেখা দিয়েছে এবং নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে।
এর আগে, নিজেদের পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ না পাওয়ায় গত ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভিসি কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর শাটল ট্রেন আটকে চাবি নিয়ে গিয়েছিল বগিভিত্তিকি রাজনীতিতে জড়িত ছাত্রলীগের কর্মীরা। ওইসময় বগিভিত্তিক উপগ্রুপ কনকর্ডের অনুসারীরা এসকল কর্মকান্ডে জড়িয়েছিল।
এছাড়া, গত ২৩ জানুয়ারি ছাত্রশিবির অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা এক প্রার্থীকে মারধর করেন শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা। তারাও বগিভিত্তিকি রাজনীতিতে জড়িত।