দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রায় ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী গাইড বই ছাড়া পড়তে পারে না। তবে এ হার সবচেয়ে বেশি মাধ্যমিকে, যা ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘মহামারি উত্তর শিক্ষা: স্কুল শিক্ষার পুনরুদ্ধার ও আগামীর অভিযাত্রা’ শীর্ষক এডুকেশন ওয়াচ ২০২২ নামের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ৭৯ শতাংশ প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ ও পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সহায়ক বই (বাণিজ্যিক গাইড বই) অনুসরণ করছে।
আরো পড়ুন: এক উপজেলাতে প্রাথমিকের ৯০ প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য
এই গাইড বই কেনার পেছনে ২০২২ সালের প্রথম ৯ মাসে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা গড়ে ৬৯৯ টাকা এবং মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা গড়ে ২ হাজার ৬৫ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে বলে অভিভাবকেরা জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনের তথ্য আরও বলছে, দেশের অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউটর বা কোচিংয়ে নির্ভরতা বেশি ছিল। শহর ও গ্রামাঞ্চল সব পর্যায়েই এই চিত্র দেখা গেছে। আর অভিভাবকদের তথ্য অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণির প্রায় ৬৪ শতাংশ এবং নবম শ্রেণির ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউটরিংয়ের জন্য প্রতি মাসে এক হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এডুকেশন ওয়াচের সভাপতি ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী, শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক আহমেদ প্রমুখ।