ডেস্ক: সন্তানদের প্রাইভেট কোচিংয়ের জন্য কারো কাছে না পাঠাতে অভিভাবকদের পরমার্শ দিয়েছেন রাজধানীর বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেনেন্ট কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার সকালে স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সন্তানদের প্রাইভেট কোচিংয়ের জন্য কারো কাছে পাঠাবেন না। আপনার সন্তানের পড়াশুনার দায়িত্ব আমার, আমার শিক্ষকদের। স্কুলে নিয়মিত উপস্থিত থেকে পড়াশুনায় মনোযোগী হলেই তারা ভাল করবে। যে সকল শিক্ষার্থী কম বোঝে তাদের প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় দিয়ে পাঠদান ও পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রত্যেককে ভালো ফল করার জন্য সার্বিকভাবে প্রস্তুত করতে স্কুলের শিক্ষকরা দায়িত্ব নেবেন।
নভেম্বরে সমাপনী পরীক্ষা। তাই কোচিংয়ে না গিয়ে স্কুলে যা পড়ানো হচ্ছে সেগুলো শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়ছে কিনা, হোম ওয়ার্ক করছে কিনা, বুঝছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে অভিভাবকদের পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় উপস্থিত একাধিক অভিভাবক জানান, সৃজনশীল পদ্ধতি সন্তানরা খুব ভাল বুঝতে পারে না। তাই একাধিক শিক্ষকের কাছে কোচিং করতে দৌড়ঝাঁপ করে। কিন্তু আজ স্কুল অধ্যক্ষের আশ্বাসে সে চিন্তা অনেকটাই দূর হয়েছে।
নেহাল (ছদ্মনাম) নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, দেড় মাস আগেও স্কুলের বেশ কিছু শিক্ষক নিজেদের বাসায় কোচিং করাতেন। যেসব শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে পড়তেন তাদের বেশি নম্বর দেয়া হতো। কিন্তু অধ্যক্ষ শিক্ষকদের ডেকে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, যারা কোচিং করতে চান তারা চাকরি ছেড়ে চলে যান। এমন হুমকির পর প্রায় সকল শিক্ষক টিউশনি বন্ধ করে দিয়েছে।
রেজওয়ান (ছদ্মনাম) নামের আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পরিচালিত এ স্কুলটির মাসিক বেতন বছরের মাঝামাঝি সময় দ্বিগুণ করা হয়। এতোদিন বেতন দ্বিগুণ হওয়ায় দুঃখ থাকলেও অধ্যক্ষ যে শিক্ষকদের কোচিং ব্যবসা বন্ধ ও বাইরে কোচিং না করানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সার্বিক দায়িত্ব পালনের আশ্বাস দিয়েছেন তাতে সে কষ্ট দূর হয়েছে। এখন তারা অধ্যক্ষের দেয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখার অপেক্ষায় বলে জানান তিনি।