মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এবং ডে কেয়ার ইনচার্জ পদের বাছাই পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে আসার পর জানতে পারে পরীক্ষা স্থগিত। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সারা দেশ থেকে আসা পরীক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পরীক্ষা দিতে আসলে পরীক্ষার্থীরা জানতে পারেন তাদের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ঢাকার ২০ টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কেন্দ্রে এসে তারা জানতে পারেন, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থোকে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পরেছেন। সকাল ১১টায় শুরু হওয়ার কথা ছিলো, টাঙানো হয়েছিলো সিটপ্লান। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে জানানো হয় পরীক্ষা স্থগিতের কথা।
তেজগাওঁ কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ফুলবাবু কুমার বলেন, আমরা দূর থেকে এসেছি। একদিন আগে মেসেজ দিলেও হতো। কিন্তু কোনো কিছুই বলেনি। পরীক্ষা পেছালো এটাও তো সময় নষ্ট করলো। কোনদিন পরীক্ষা হবে কেউ জানেনা। এই যে এত দূর্নীতি এত অনিয়ম। এগুলো দেখার কি কেউ নেই।
এ ব্যাপারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-সচিব ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, “আমি জানি না কি কারণে স্থগিত করা হয়েছে, আমাকে শুধু বলা হয়েছে স্থগিত করতে। এই নিয়োগ পরীক্ষা সারা দেশেই স্থগিত করা হয়েছে।”
১৩ অক্টোবর সকালে মহিলা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও ডে কেয়ার ইনচার্জ পদের নিয়োগ পরীক্ষার (বহু নির্বাচনী) পরবর্তী তারিখ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে জানানো হবে।
উল্লেখ্য পরীক্ষার্থীরা ১ ঘন্টা বিক্ষোভ করার পর কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়।