২ সেপ্টেম্বর ২০১৭:
আদালত থেকে শুরু করে জেল; কান্না থামছেই না। ঘুমাচ্ছেন না। খাচ্ছেন না ঠিকমতো। থেমে থেমে শুধু কেঁদেই চলছেন তো চলছেন। থামার নাম গন্ধ নেই বললেই চলে। বলছেন ‘কী করেছি আমি? ভুলটা কোথায়?’ রোহতক শহরের সুনারিয়া জেলের কয়েদিরা কথাগুলো শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। যার কথা বলা হচ্ছিল তিনি আর কেউ নন। ধর্ষণের দায়ে সদ্য সাজাপ্রাপ্ত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং।
তার পাপকে লঘু ভাবছেন তিনি। আর সাজাকে ভাবছেন গুরু দণ্ড হিসেবে! সুনারিয়া জেল থেকে সদ্য মুক্তি পেয়েছেন দলিত নেতা স্বদেশ কারার। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দিনে কোনোমতে ভালোভাবে কাটালেও রাতে বদলে যাচ্ছে গুরমিতের আচরণ। সেলে রাতভর চিৎকার করছেন। নাওয়া-খাওয়া একপ্রকার বন্ধ। তার দাবি হলো, তিনি কী এমন করেছেন যে তাকে এমন সাজা দেওয়া হলো!’
স্বদেশের দেওয়া সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হলো, রাম রহিমের কারণে এতগুলো লোকের প্রাণ যাওয়াটা নাকি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি জেলের অন্য কয়েদিরা। রাম রহিমের বিরুদ্ধে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অন্য কয়েদিদের সঙ্গে এক সেলে রাখা হলে রাম রহিম খুন হয়ে যেতে পারেন, এই আশঙ্কায় তার জন্য আলাদা সেলের ব্যবস্থা করেন জেল কর্তৃপক্ষ।
দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গত ২৮ অগস্ট ২০ বছরের সাজা হয়েছে তার। বিলাসবহুল জীবন থেকে তার ঠাঁই এখন রোহতকের সুনারিয়া জেলের ছোট্ট একটা কুঠুরিতে। সর্বক্ষণ পাহারায় রয়েছে চার কারারক্ষী।
সূত্র: আনন্দবাজার