নিজস্ব প্রতিবেদক | :
শিশু শিক্ষার বিস্তারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে করোনার ক্রান্তিকালে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের বেতন দিতে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোকে সহজশর্তে ঋণ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের নেতারা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায়। তাই, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের বেতন ভাতা দিতে পারছে না বলে দাবি প্রতিষ্ঠানগুলোর। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা বা সহজশর্তে ঋণ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিষদের নেতারা। একইসাথে অসহায় এসব শিক্ষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং তাদের জন্য রেশন কার্ড প্রচলনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১২ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানান তারা।
পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায় স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের অর্ধলক্ষ কিন্ডারগার্টেনের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী আজ বড় অসহায়। একমাত্র কিন্ডারগার্ডেন শিক্ষকরা কোন প্রণোদনা বা আর্থিক সহায়তা পাননি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা ব্যবস্থা করা এবং রেশন কার্ড প্রচলন করা জরুরি।
বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের বেতন ও টিউশন ফি আদায় বন্ধ থাকায় বাড়ি ভাড়া প্রতিষ্ঠান খরচ পরিচালনা এবং শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কিন্ডারগার্টেনগুলোর মালিকরা। প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হয়ে রয়েছে। শিক্ষকদের বেতন দিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বল্পসুদে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার প্রয়োজন। তাই এসব প্রতিষ্ঠানকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, দেশে ৫০ হাজারের বেশি কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার মানোন্নয়নের ক্রমবর্ধমান ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারকে আরও ৫০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। এসব শিক্ষক যাতে হতাশ হয়ে না পড়েন সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি। তাই, শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানাচ্ছি।