ডেস্ক,২৪ মার্চ ২০২৩:
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) এবারের বিষয়ভিত্তিক র্যাংকিংয়ে প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে পিছিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এ তালিকায় স্থান পায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান কিউএস তাদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। যেখানে ব্রড সাবজেক্ট এরিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে এবার বুয়েটের অবস্থান ৩৩৫তম। যেখানে গত বছর ছিল ১৮৫তম। গতবার ৩৩২তম স্থানে থাকলেও এবার সেই তালিকায় জায়গা হয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের।
আরো পড়ুন: জাবিতে এমএসজিডি ফল প্রোগ্রামে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশিত ওই র্যাংকিংয়ে দেখা যায়, বিশ্বের ১ হাজার ৫৯৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থান পেয়েছে। এবারের র্যাংকিংয়েও আলাদা দুইটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। এতে প্রধান বিষয় (ব্রড সাবজেক্ট এরিয়া) ক্যাটাগরিতে পাঁচটি বিষয় রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, আটর্স অ্যান্ড হিউমেনিটিস, লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন ও ন্যাচার সায়েন্স। তাছাড়া নির্দিষ্ট বিষয় (স্পেসিফিক সাবজেক্ট) ক্যাটাগরিতে ৫৪টি আলাদা আলাদা বিষয় রয়েছে।
ব্রড সাবজেক্ট এরিয়াতে শুধু বুয়েট স্থান পেলেও বাকি তিন ক্যাটাগরি, আটর্স অ্যান্ড হিউমেনিটিস, লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন এবং ন্যাচার সায়েন্সে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পায়নি।
‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংস বাই সাবজেক্ট ২০২৩’ শীর্ষক র্যাংকিংয়ে ব্রড সাবজেক্ট এরিয়া সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে এবার ঢাবির অবস্থান ৪৫১-৫০০ এর মধ্যে। যেখানে গত বছর ছিল ২০৩তম।
গতবার দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ২৯৮তম স্থানে থাকলেও এবার সেই তালিকায় জায়গা হয়নি। তাছাড়া গতবার ৪৫১-৫০০ এর মধ্যে থাকা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়েরও এবার জায়গা হয়নি।
তবে সামাজিক বিজ্ঞান এবং ব্যবস্থাপনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও পিছিয়েছে র্যাংকিংয়ে। আর তালিকায় জায়গা হয়নি গতবার স্থান পাওয়া দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাকের।
উল্লেখ্য, কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে বিষয়ভিত্তিক তালিকায় একাডেমিক খ্যাতি (একাডেমিক রেপুটেশন), চাকরির বাজারে সুনাম (এমপ্লয়ার রেপুটেশন), এইচ-ইনডেক্স, শিক্ষকপ্রতি গবেষণা-উদ্ধৃতি (রিচার্স সাইটেশনস পার পেপার) এ সূচকগুলোর ওপর ভিত্তি করে মান নিরূপণ করা হয়।