অনলাইন ডেস্ক:কলোরাডোতে গুলি বর্ষণের ঘটনায় গুরুতর আহত ১৭ বছর বয়সী কিশোরী ছাত্রী ৮ দিন পর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় শনিবার মারা গেছে। তাকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
এএফপি’র এক খবরে বলা হয়, ১৩ ডিসেম্বর আরাপাহোই উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র কার্ল পিয়ারসন (১৮) একটি শটগান দিয়ে ক্লেয়ার ডেভিসকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। এরপর সে আত্মহত্যা করে।
কর্মকর্তারা জানান, রোমহর্ষক ঘটনাটি ৮০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যায়। জানা যায়, পিয়ারসনকে স্কুলের বিতর্ক দল থেকে বাদ দেয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দলের কোচের ওপর সে ক্ষুব্ধ ছিল।
লিটলটন অ্যাডভান্টিস্ট হসপিটাল তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছে, ‘দুঃখ ভরাক্রান্ত মনে জানাচ্ছি যে স্থানীয় সময় আজ বিকেল ৪টা ২৯ মিনিটে (গ্রিনিচ মান সময় ২৩২৯) ক্লেয়ার ডেভিস মারা গেছে। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা তার পাশে ছিলেন।’
কর্মকর্তারা জানান, অ্যারাপাহোই হাই স্কুলে হামলাকারী একটি শটগান, বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি, একটি চওড়া ভারী ছোরা ও তিনটি ককটেইল নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে। ৬ ডিসেম্বর কলোরাডোর অস্ত্র আইনের আওতায় সে একটি খুচরা দোকান থেকে এগুলো ক্রয় করে।
গত বছরের অরোরা সিনেমা হলে ব্যাটম্যান প্রদর্শনকালে এক বন্দুক হামলায় ১২ জন নিহত হয়। সর্বশেষ ঘটনাটি ওই সিনেমা হলটি থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে ঘটেছে। এছাড়াও ১৯৯৯ সালে কলম্বিয়ায় দুই ছাত্রের বন্দুক হামলায় ১৩ জন প্রাণ হারায়।
কানেকটিকাটের নিউটাউনের গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রথম বার্ষিকীর মাত্র একদিন আগে সর্বশেষ এই ঘটনাটি ঘটল। ওই ঘটনায় স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে হামলাকারী অ্যাডাম লাঞ্জার গুলিতে ২০ কিশোর ও ৬ প্রাপ্তবয়স্ক লোক নিহত হয়।
নিউটাউনের ঘটনাটি কিছু সময়ের জন্য হলেও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিতর্ককে উস্কে দিয়েছে। তবে কংগ্রেসে কঠোর আগ্নেয়াস্ত্র আইন পাশ হওয়ার বিষয়টি সামান্যই এগিয়েছে।