এমপি হলেও সংসদে বসা হবে না সাজুর

Image

উপনির্বাচনে নির্বাচিত হলেও সংসদীয় কোনো অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু। আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। তবে ওই আসনে ভোট গ্রহণের আগেই আগামী ২ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশন শেষ হবে।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খুব বেশি বাকি নেই। নভেম্বরের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা ও জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর সংবিধানে বলা আছে, সংসদের একটি অধিবেশন থেকে আরেকটি অধিবেশনের মধ্যে বিরতি ৬০ দিনের বেশি হবে না। তবে জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত ৯০ দিনের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য নয়। সাধারণত এ সময়ে অধিবেশন আহ্বান করা হয় না।

তাই সাজুর মতোই নির্বাচিত হলেও সংসদ অধিবেশনে বসা হবে না লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিঙ্কু ও পটুয়াখালী-১ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়ন যিনি পাবেন। আগামী ২৬ নভেম্বর পটুয়াখালী- ১ আসনের উপ নির্বাচন হবে। ওই আসনের প্রার্থী এখনও চূড়ান্ত করেনি আওয়ামী লীগ। আর লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন হবে ৫ নভেম্বর।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঞা এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল মারা যান। ১ অক্টোবর সংসদ সচিবালয় আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরে ৩ অক্টোবর দুই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

চলতি একাদশ সংসদ যাত্রা শুরু করেছিল ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জানুয়ারি। গত ২২ অক্টোবর একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। এটি ২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি এই সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে। তার আগের ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ১ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে।

কোনো সংসদ সদস্যের মৃত্যু বা অন্য কোনো কারণে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে উপনির্বাচনের মাধ্যমে সেখানে নতুন সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে হয়। আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এই উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আবার স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের পদ শূন্য হলে সেই স্থানীয় সরকারের মেয়াদ পূর্তির আগের নব্বই দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করা যায় না। তবে সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। অর্থাৎ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল হওয়ার পরও ভোটের তারিখ রাখতে না পারার বিষয়ে আইনে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই।

জানা গেছে, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিতরা শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদ বলবৎ থাকবেন। কাজেই উপনির্বাচনে যিনি নির্বাচিত হবেন শপথ নিয়ে ওই সময় পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। একই ব্যক্তি যদি দুটি নির্বাচনেই মনোনয়ন পান, তাহলে তিনি নির্বাচন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে শপথ নেবেন।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।