এমপিওভুক্তির দাবিতে ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের মানববন্ধন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক,২৮ নভেম্বর, ২০২১
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে বিধিমোতাবেক ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক পদে নিয়োগকৃতদের এমপিওভুক্তির (বেতন ভাতার সরকারি অংশ) দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ররিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ১নম্বর গেটের সামনে এমপিও ভুক্তির তালিকায় বাদ শিক্ষকদের সংগঠন ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক ফেডারেশনের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষার্থীদের জন্য ‘পরিবহন কার্ডের’ প্রস্তাব, পাবে না সবাই

সকাল ১০টায় সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তালিকায় বাদ পড়া ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সামনে জড়ো হয়। পূর্ব নির্বারিত কর্মসূচী অনুযায়ী শিক্ষকরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা বলেন, ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আন্তরিকতায় বিধিমোতাবেক ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে মোতাবেক গত ৭ নভেম্বর ২০২১ এমপিওভুক্তির নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত দিয়ে ৭৭০জন তৃতীয় শিক্ষকের নামের তালিকা প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

এই তালিকায় এমপিওভুক্তির শর্ত উপেক্ষা করে নানা ধরনের ভুল ও অসঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষকদের নাম প্রকাশ করা হয় বলে দাবি শিক্ষকদেরন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অসচেতনাতা ও উদাসীনতায় সব ধরনের শর্ত পূরণ থাকা সত্ত্বেও এমপিওভুক্তির ওই তালিকায় দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি বলেও জানান তারা। ফলে বছরের পর বছর বিনা বেতনে চাকরি করা এসব শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে না পারায় চরম হতাশায় রয়েছেন।

তারা অনতিবিলম্বে এই ভুলে ভরা অসংগতিপূর্ণ ৭৭০ জনের তালিকা বাতিল করে বিধিমোতাবেক ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে নিয়োগকৃত সকল তৃতীয় শিক্ষককে এমপিও ভুক্তির দাবি জানান।

শিক্ষকরা আরো জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) প্রকাশিত তালিকায় বিভিন্ন ধরণের অসঙ্গতি রয়েছে। এ তালিকায় একই শিক্ষকের নাম একাধিকবার প্রকাশ, ইতোপূর্বে সমন্বয়ের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক, ননএমপিও ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক, সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতি রয়েছে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক ফেডারেশনের সমন্বয়কারী মোছা. বুলবুলি আক্তার ও ফরহাদ হোসেন তাদের বক্তব্যে বলেন, আমরা ইতোপূর্বে এই অংসগিতপূর্ণ তালিকা বাতিল করে সংশোধনী তালিকার মাধ্যমে বাদ পড়া শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে মাননীয় শিক্ষক সচিব ও মাউশি মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছি। আমরা চাই বিধি মোতাবেক ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষক যেন এমপিওভুক্ত হতে পারেন। দীর্ঘ ৮-১০ বছর বিনা বেতনে চাকরি মানবেতর জীবনযাপন করছি। পরিবার-পরিজনের মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে পারি না। এমপিওভুক্তির তালিকাটি সংশোধনপূর্বক বাদপড়া শিক্ষকদের তালিকাভুক্তির জন্যে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তালিকায় যে সকল অসংগতি রয়েছে :

এমপিওভুক্তির জন্য মনোনিত ৭৭০জন শিক্ষকের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ৬,৭ ও ৮ নং তালিকায় প্রকাশিত চারজন শিক্ষকের নাম পুনরায় ৫৫২ থেকে ৫৫৫নম্বর তালিকায় রয়েছে। একই তালিকায় ময়মনসিংহের পুলবাড়ীয়া কলেজের সাতজন শিক্ষকের নাম ৬৫ থেকে ৭১নম্বর তালিকায় থাকলেও পুনরায় তাদের নাম ৭২ থেকে ৭৮নম্বর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২১৭ থেকে ২২৩ পর্যন্ত তালিকার শিক্ষকদের আবারো ২২৪ থেকে ২৩০ নম্বর তালিকায় রয়েছে। একই তালিকার ৭৪৪ থেকে ৭৪৭ পর্যন্ত শিক্ষকদের নাম দ্বিতীয় বারের মত ৭৫০ থেকে ৭৫৩ নম্বর তালিকা রয়েছে। এ ছাড়াও তালিকায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অনার্স-মাস্টার্সের শিক্ষক, সদ্য জাতীয়কৃত কলেজের শিক্ষকদের নাম, সমন্বয়কৃত শিক্ষক, ২০১৭ সালে কমিটির মাধ্যমের নিয়োগকৃতও রয়েছে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।