এখনও বিছানায় সক্ষম বলায় কবীর সুমনের ওপর খেপেছেন তসলিমা

Image

কবীর সুমন বলেন, ‘কাম! মুক্ত কাম! যেখানে অশ্লীলতাই সব। বয়স হয়েছে। রাতে ভাল ঘুম হয় না। কিন্তু আমি বিছানায় চূড়ান্তভাবে সক্ষম।

জন্মদিন উপলক্ষে ভারতীয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমনের দেয়া দেয়া এক সাক্ষাৎকার নিয়ে খেপেছেন সে দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন।

কবীর সুমনের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার পত্রিকা ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করার পর ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে তসলিমা লিখেছেন, এই সুমনকে আমি হিপোক্রেট সুমন বলি।

টানা তিন ঘণ্টা রেকর্ডিং সেরে সাক্ষাৎকার দিতে বসলেন, এই বয়সে এখনও এই অফুরান এনার্জির রহস্যটা কী- এমন প্রশ্নে কবীর সুমন বলেন, ‘কাম! মুক্ত কাম! যেখানে অশ্লীলতাই সব। বয়স হয়েছে। রাতে ভাল ঘুম হয় না। কিন্তু আমি বিছানায় চূড়ান্তভাবে সক্ষম।’

তিনি বলেন, ‘নারীরা আমাকে সমৃদ্ধ করেছেন। নতুন ধারণা আবিষ্কার করে প্রেম করাতেই আমার এনার্জি। আঁতলামি নয়, প্রেম করতে হবে শরীর দিয়ে, ভালবাসা দিয়ে এবং সম্মান দিয়ে। এ ছাড়া আমাদের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বিভিন্ন রাগ এবং খেয়াল আমাকে বাঁচিয়ে রাখে।’

সাক্ষাৎকারে নিজের জীবন, যৌনতা সবকিছু নিয়েই খোলামেলা কথা বলেন কবীর সুমন। এরপরই ফেসবুকে তসলিমা বিষয়টি নিয়ে লেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তসলিমার প্রশ্ন, যে গানগুলো লিখে তিনি বাঙালির হৃদয় ছুঁয়েছেন সে গানের কথাতে তিনি আদৌ বিশ্বাস করেন বা করতেন কি না!

তিনি লিখেছেন, ‘এই সুমন স্বার্থের জন্য যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। যদি দেখেন আঘোরি বা নাঙ্গা সন্ন্যাসী সাজলে কিছু ফায়দা হবে, বা লোককে বোকা বানিয়ে মজা লোটা যাবে, তিনি তাই করবেন।’

তসলিমা লেখেন, ‘আমি বুঝি না, সাংবাদিকরা যখন তার ইন্টারভিউ নেয়, কেন সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা কেউই জিজ্ঞেস করে না। বিছানায় তিনি ৭৫ বছর বয়সেও সক্ষম, এই কথা কেন শোনাচ্ছেন, পুরুষদের বোকা বানানোর জন্য নাকি নারীদের?’

তিনি লিখেছেন, ‘মানুষটার আদর্শ বলে কোনকালে কিছু কি ছিল? আমার সন্দেহ হয়। একসময় নাকি বামপন্থী ছিলেন। বামপন্থী যদি সত্যি হতেন, এত সহজে তৃণমূলী হতেন না। তার নাকি গাড়ি নেই। অনেকে এমন কথা বলে প্রমাণ করতে চান তারা খুব সৎ মানুষ। অনেক অসৎ লোকের কিন্তু গাড়ি থাকে না, আবার অনেক সৎ লোকেরও গাড়ি থাকে। গাড়ি না থাকা সততার কোনও প্রমাণ হয়।’

তসলিমা লিখেছেন, ‘মনে আছে ২০০৭ সালে তিনি (কবীর সুমন) আমার বিরুদ্ধে তাণ্ডব করা কলকাতার ফতোয়াবাজ জিহাদিদের পক্ষ নিয়েছিলেন।’

সুইডেনের পাসপোর্টধারী হিসেবে দিল্লিতে বসবাস করছেন তসলিমা। ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে তখন আন্দোলনের মুখে পড়তে হয় তাকে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।