ডেস্ক,৮ নভেম্বর ২০২২:
এইচএসসি’র বাংলা প্রথমপত্রে ধর্মীয় উস্কানি মূলক প্রশ্ন করার বিষয়টি তদন্ত করে করে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) এই কমিটি গঠন করে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
যশোর বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কে এম বব্বানীকে। এ বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ও উপ কলেজ পরিদর্শক কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
আরো পড়ুন: বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র: প্রশ্নকর্তা উদ্দেশ্যমূলক এটা করেছে, মডারেটরদেরও কঠিন শাস্তি দেয়া হবে
বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সাব কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্রে বিতর্কিত বিষয় রাখার বিষয়টি তদন্ত করতে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে। এরপর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রভাবিত হবে কিনা এমন প্রওশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এটি পরো জাতির কাছে স্পষ্ট। ফলে তদন্ত প্রতিবেদন প্রভাবিত হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। ঘটনার সাথে জড়িতদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আরো পড়ুনঃ এইচএসসির বাংলা প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ
এর আগে মঙ্গলবার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বাংলা প্রথমপত্রের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রশ্নপত্রটি যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রণীত।’ প্রশ্নটি করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল।
আর প্রশ্নপত্রটি পরিশোধনের (মডারেশন) দায়িত্বে ছিলেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রথম দিনই দুই শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্রে একটি উদ্দীপকে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার মতো কথামালাযুক্ত প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। আর কুমিল্লা বোর্ডের প্রশ্নে ‘পীর’ সংক্রান্ত শব্দগত দিক জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষা প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।