উপবৃত্তির টাকা: শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রির সময় বাড়লো

Image

ডেস্ক,২০ মার্চ ২০২৩: সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতাভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ষষ্ঠ শ্রেণিতে, বিশেষ ক্ষেত্রে নবম শ্রেণি ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত উপবৃত্তি যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচন ও তথ্য অন্তর্ভুক্তি চলছে। আজ রোববার পর্যন্ত এসব শিক্ষার্থীর তথ্য এইচএসপি এমআইএস সার্ভারে এন্ট্রি করার সুযোগ ছিলো।

সে সময় ২৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠানো তথ্য যাচাই ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া জন্য এইচএসপি পিএমইএটিতে পাঠাতে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের ৩০ মার্চ পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।

উপবৃত্তির তথ্য এন্ট্রির সময় বাড়ানোর বিষয়টি জানিয়ে সব উপজলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি। রোববার চিঠিটি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

জানা গেছে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের তথ্য এইচএসপি এমআইএস সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কোনোভাবেই কোনো সূত্র বা কম্পিউটার দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রির কাজ না করতে বলেছে সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি। প্রতিষ্ঠানে আইসিটি শিক্ষক বা প্রধানের মনোনিত একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে এন্ট্রিসহ উপবৃত্তির কাজ করতে হবে।

সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির স্কিম পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ষষ্ঠ, নবম (বিশেষ ক্ষেত্রে) এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তথ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসপি-এমআইএসে এন্ট্রি ও উপজেলায় পাঠানোর সময়সীমা ১৯ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত ছিলো। বিশেষ বিবেচনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায় থেকে এইচএসপি-এমআইএসে শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি এবং উপজেলায় পাঠানোর সময়সীমা আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসপি-এমআইএসে তথ্য এন্ট্রি এবং পাঠানোর অপশন ২৭ মার্চ রাত ১২ টায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সব উপজলো বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসপি-এমআইএসে উপজেলায় পাঠানো তথ্য যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এইচএসসি-পিএমইএটিতে পাঠানোর সময়সীমা ৩০ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। সব উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিষয়টি জানিয়ে তথ্য এন্ট্রি মনিটর করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য এন্ট্রির কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হলে সৃষ্ট যেকোনো সমস্যার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান বা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ব্যবহৃত আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে এইচএসপি-এমআইএসে লগইন করতে না পারলে ‘পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন’ বাটনে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান বা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মোবাইল নম্বরে ওটিপি পাঠানোর মাধ্যমে পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ইউজার প্রোফাইলে নাম ও মোবাইল নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। এছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে ইমেইলে ([email protected]) আবেদন পাঠিয়েও পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করা যাবে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।