ডেস্ক,১৪ ফ্রেবুয়ারী ২০২২ঃ
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছেন এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন।
২০০১ খ্রিষ্টাব্দে এই পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এটিই সর্বোচ্চ। জিপিএ ফাইভে গতবছরের অটোপাসকেও হার মানিয়েছে। গত বারের (২০২০) তুলনায় ২৭ হাজার ৩৬২ জন বেশি পরীক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ এ মাসের শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
আর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি ও জেএসসির ফল মূল্যায়ন করে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জনকে এই পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ দেয়া হয়েছিলো।
এর আগে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের সব বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে এইচএসসি ও সমমানে ৪৭ হাজার ২৪৮ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ অর্জন করেছিলেন।
গত কয়েক বছরের ফল পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এ বারে তিন বিষয়ের পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। এই পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ ২০২১ খ্রিষ্টাব্দেই হওয়ার কথা থাকলেও করোনার ছোবলে তা করা যায়নি।
জিপিএ ফাইভ বৃদ্ধির তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্তারা। তাদের মতে, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, জেএসসি ও এসএসসির ফল হিসেবে অবশ্যিক বিষয়ের নম্বর দেয়া এবং ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে মূল্যায়ন করায় জিপিএ ফাইভ বেড়েছে।
উদারভাবে খাতা দেখার বিষয়টিও ছিলো। এদিকে শিক্ষাবিদরা বলছেন, ঢালাওভাবে জিপিএ ফাইভ দেয়ায় শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা বাড়বে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ফল করা শিক্ষার্থীদের আসন দিতে পারবে না। যা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের হাতাশা বাড়াবে।