ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন, বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া মেলেনি

Image

ইবি প্রতিনিধি,২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩: ইসলামী বিশ্বিবিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার রাতের কোনো তথ্য-প্রমাণাদি কারো কাছে থাকলে তা লিখিত আকারে বা সশরীরে ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার মধ্যে জমা দেওয়ার কথা জানানো হয়।

তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখার শর্তে প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক আইন বিভাগের প্রফেসর ড. রেবা মণ্ডল ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির অফিসে এ তথ্য দেওয়ার আহবান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন: চবির হলে ছাত্রলীগের তাণ্ডব, ৮ রুমে ভাংচুর

তবে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তিতে এখনো সাড়া পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া পদ্ধতিতে তথ্য প্রমাণাদি জমা পড়েনি বলে নিশ্চিত করেছেন কমিটির আহবায়ক ড. রেবা।

ড. রেবা জানান, উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তিতে কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি। এর বাইরে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অন্য সদস্যরাও।

ছাত্রীরা বলছেন, আতঙ্কে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন তারা। একই সঙ্গে ঘটনা বাইরে প্রকাশ না করতে নিয়মিত শাসানো এবং সব সময় নজরবন্দি করে রাখা হচ্ছে।

হল প্রশাসন বা তদন্ত কমিটির দেওয়া আশ্বাসে তারা আশ্বস্ত হতে পারেনি। অহেতুক কেউ ঝামেলায় জড়াতে চান না বলেও জানান ওই রাতের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা।

উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া না পাওয়ার কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রভোস্ট প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মোটিভেশনের অভাবে হয়ত ছাত্রীরা সিকিউর ফিল করতে পারেনি।

এছাড়া আমাদের অধিকাংশ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে না। সেজন্য এ ঘটনার রেজাল্ট কী হতে পারে এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকাতে অনাগ্রহী হতে পারে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে হয়ত ছাত্রীরা আগ্রহী হতো।

গণরুমের একাধিক ছাত্রী ও ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই আতঙ্কে গণরুম ছাড়তে থাকেন অধিকাংশ ছাত্রী।

হলে থাকা অভিযুক্ত ও তাদের সহযোগীদের ভয়ে এবং অহেতুক ঝামেলা এড়াতে অনেকেই গণরুম ছেড়ে বাসায় চলে যান।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে দুইজন হাইকোর্টের নির্দেশে হল ছাড়লেও বাকিরা এখনো হলেই অবস্থান করছেন। ফলে ছাত্রীরা ভয়ে ফোনে কথা বলতেও ভয় পাচ্ছেন।

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেন, প্রতিনিয়তই তাদের সঙ্গে কথা বলছি, কোনো সমস্যা বা তথ্য থাকলে নির্ভয়ে জানাতে বলেছি।

পরিচয় গোপন রাখার বিষয়েও বলেছি। ছাত্রীরা অনেকে হলে ফিরতে শুরু করেছে। তাদের মুখ খুলতে বা সাহসী হতে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।