ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) টেন্ডার ও নিয়োগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে বন্ধ ক্যাম্পাসে সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে ছাত্রলীগ। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাসের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এই সশস্ত্র মহড়া দেয় তারা। এসময় ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ক্যাম্পাস ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অর্থ-বছরের উন্নয়নমূলক কাজের টেন্ডার ও নিয়োগ বাণিজ্যকে সামনে রেখে আধিপত্য বিস্তার করতে অস্ত্র মহড়া দিয়েছে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ।
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু গ্রুপের কর্মীরা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে শোডাউন দেয়। পরে ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকারের সঙ্গে দেখা করে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের জন্য চাকরির দাবি করে।
এরপরেই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা বেলা ১২টার দিকে পাল্টা শোডাউন দিলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরই অংশ হিসেবে আধিপত্য বিস্তার করতে বুধবার সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রড, চাপাতি, হাতুড়িসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে দলীয় টেন্ট থেকে একটি অস্ত্র মহড়া বের করে।
পরে তারা প্রশাসন ভবনের পিছনের গেট দিয়ে ভবনের মধ্যে প্রবেশ করে। এসময় তারা ধর ধর বলে স্লোগান শুরু করলে ওই ভবনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা ওই ভবনের জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে। এসময় তারা রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমানের অফিসের কর্মচারী অনুপ কুমার বিশ্বাসকে মারধর করে। পরে তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দলীয় টেন্টে অবস্থান নেয়।
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে তারা এই অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
অস্ত্র মহড়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীদের চাঙা করতে আমরা একটি মিছিল করেছি মাত্র।
এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে মিছিল-মিটিংয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।