আফগান প্রেসিডেন্ট প্যালেস তালেবানের দখলে

Image

সমকাল ডেস্ক,১৫ আগষ্ট:
আফগান প্রেসিডেন্ট প্যালেস তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরই তার প্যালেসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান। তবে আফগান সরকারি কর্মকর্তারা এ খবর নিশ্চিত করেননি।

মূলত তালেবান দাবি করছে, তারা নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে প্রেসিডেন্ট প্যালেস। খবর বিবিসির

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি রাজধানী কাবুল ত্যাগ করেছেন।

বিবিসি বলছে, তালেবান দখলে প্রেসিডেন্ট প্যালেস দাবি উঠলেও সেখানে আসলে এখন কী পরিস্থিতি চলছে, তা স্পষ্ট নয়। স্থানীয় সাংবাদিকরাও এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছেন না।
স্থানীয় সাংবাদিক বিলাল সারওয়ারি জানাচ্ছেন, তালেবানের সঙ্গে মতৈক্য হয়েছিল, ঘানি প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ক্ষমতা হস্তান্তরের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। কিন্তু এর পরিবর্তে তিনি ও তার সহযোগীরা দেশ ছেড়েছেন।

এ অবস্থায় প্যালেস দখল করা একটা পর্যায়ে চলে আসে। প্যালেসের কর্মচারীদের চলে যেতে বলা হয় এবং এরপর প্যালেসটি জনশূন্য হয়ে পড়ে বলে জানা যায়।

এদিকে আশরাফ ঘানিকে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন দেশটির শান্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত শীর্ষ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ। একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ঘানিকে দায়ী করেছেন তিনি।

আফগানিস্তানে সরকারের সঙ্গে গত কয়েক মাসের শান্তি আলোচনায় ঘানির পদত্যাগ ছিল তালেবানের অন্যতম দাবি।

রোববার সকালে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর জালালাবাদের দখল নেয় তালেবান। কোনো যুদ্ধ ছাড়াই তালেবান শহরটির দখল নিতে সক্ষম হয়। জালালাবাদ দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে অন্তত ২৮টির রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পরে বিকেল ৪টার দিকে আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আশরাফ ঘানি।

এরপর খবর আসে তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। আবদুল গনি বারাদর দলটির রাজনৈতিক দপ্তরের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। আফগানিস্তানে টেকসই শান্তি ও অস্ত্র বিরতি নিয়ে দোহার আলোচনাকারী তালেবান প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন তিনি। মোল্লা ওমরের সবচেয়ে বিশ্বস্ত কমান্ডারদের একজন হিসেবে পরিচিত বারাদরকে পাকিস্তানের দক্ষিণ করাচিতে ২০১০ এ গ্রেপ্তার করা হলেও ২০১৮ সালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তালেবানের অস্থায়ী সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান দেশটির ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল সাত্তার মিরজাকওয়াল। আফগান গণমাধ্যমের খবরে এও এসেছে, এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কূটনীতিক আলী আহমাদ জালালি।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।