স্টাফ রিপোর্টার: প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করেই মানুষ বেঁচে থাকে। সাধারণ মানুষের আকাক্ষা থাকে কোনোরকমে খেয়ে-পরে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করার। শিশুরা সীমাহীন আকাশ দেখে অসীম কল্পনা করে। আমাদের দেশের বড় রাজনৈতিক দল দুটি দ্রুত ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। এজন্য
তারা সাধারণ মানুষের তথা দেশের জন্য ক্ষতিকর কাজ করতেও দ্বিধা করে না। পেশাজীবী সংগঠনের কিছু নেতার স্বপ্ন থাকে স্বীয়স্বার্থ সংরক্ষণ করা।শিক্ষক না হয়েও শিক্ষকদের নেতৃত্ব দেবার ব্যাকুল বাসণা থাকে মনের মধ্যে। একটা সময় ছিল যখন শিক্ষকদের মধ্যে নেতৃত্ব দেবার জন্য কোন যোগ্য শিক্ষক ছিল না। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছাত্ররা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষকতায় আসসেন। বিধায় ধার করা শিক্ষক নেতাদের কোন প্রয়োজন নেই শিক্ষক সমাজে।
বর্তমানে যতগুলো প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবী আদায়ে সংগঠন গঠন হয়েছে তার মধ্যে যোগ্য ও নির্ভরযোগ্য মনে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি। যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন একদল তরুন নেতৃত্ব। তাদের নেই কোন লাভ লালসা, নেই কোন হিংসা-বিদ্বেস। প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মানউন্নয়নে এবং শিক্ষকদের দাবী আদায়ে যথেষ্ট সোচ্চার।
প্রধান শিক্ষক সমিতি স্বপ্ন দেখে সুশিক্ষার মাধ্যমে দেশকে কাক্ষিত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেয়ার।
এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় মর্যাদা সহকারে পরিবার-পরিজন নিয়ে সচ্ছলভাবে বেঁচে থাকা। 2014 সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণি মর্যাদা দেবার তা বাস্তবায়ন হয়না বিধায় শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য রাজপথে দীর্ঘসময় আন্দোলন করতে হয়। আন্দোলন করেও কাক্ষিত প্রাপ্য আদায় করা সম্ভব হয় না। সমিতির আহবায়ক রিয়াজ পারভেজ, খুলনার আহবায়ক স্বরুপ দাস, বরিশালের লাভলু, সিলেটের আবুল হোসেন, চট্রগ্রামের রঞ্জিত দা, জেলা আহবায়ক কাউসারুল আলম, রংপুরের নজরুল ইসলাম, মুখপাত্র খায়রুল ইসলাম, যুগ্ন আহবায়ক সাইদুল্লাহ, মিজানুর রহমান মিজান, খুলনার মহানগর সাধারন সম্পাদক জাহাঙাগীর প্রত্যেকেই সততার সাথে শিক্ষকদের দাবী আদায়ে সচেষ্ট ভুমিকা পালন করছে।
মন্ত্রনালয়ের এক নির্ভরযোগ্য সুত্র হতে জানা যায়, প্রধান শিক্ষকদের ২য় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
শিক্ষক তথা জাতি গড়ার কারিগরদের যথাযথ মর্যাদা না দিয়ে উল্টো তাদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করা কত মারাত্মক অপরাধ সে বোধটুকু তাদের নেই। শিক্ষকরা কারও গোলাম- এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।
সেবক হিসেবে তাদের মর্যাদা দেশের সব নাগরিকের শীর্ষে। তা সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষকরা আজও তাদের মর্যাদা পেল না।
সহকারী শিক্ষকদের জন্য কেন প্রতিশ্র“তি মোতাবেক বেতন স্কেল দেয়া হল না? যেখানে শিক্ষকরা হবেন
প্রথম শ্রেণীর মর্যাদাসম্পন্ন, তাদের বেতন স্কেল থাকবে সবার শীর্ষে। সেখানে তাদের গড়া মানুষেরা কেন তাদের শিক্ষকদের মর্যাদা ও সচ্ছলভাবে বেঁচে থাকার বিষয়টির প্রতি অবহেলা করছেন?
আজ সময় এসেছে সবার শীর্ষে তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার।