জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষায় বসতে হবে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। পরীক্ষা বাতিল হলেও জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার প্রক্রিয়াতেই পরীক্ষা নেয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে গত ২০ জুন অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে গত রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিকে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
সভার সিদ্ধান্ত উদ্ধৃত করে এনসিটিবি বলছে, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার সিলেবাসে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাংলা ও ইংরেজি একপত্রভিত্তিক এবং চারটি বিষয় (চারু ও কারুকলা, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, কৃষি শিক্ষা বা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান) ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় রেখে অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষা যথারীতি নেয়া হবে। সব শিক্ষা বোর্ড অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান রাখবে।
এতে আরো বলা হয়, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের পরীক্ষার অনুরূপ পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষা নতুন সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে।
এনসিটিবি আরো বলেছে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের বয়সসীমা ১৪ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে সেসব শিক্ষার্থীদের তথ্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনলাইন ডাটাবেজে নিবন্ধন থাকা আবশ্যক।
এসব সিদ্ধান্তের কথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে ও শিক্ষা বোর্ডগুলোকে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম।