অবশেষে অনুমোদন পাচ্ছে উচ্চশিক্ষার মান যাচাইয়ের আইন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের উচ্চশিক্ষার মান যাচাইয়ে অবশেষে চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে ‘অ্যাক্রেডিটেশন (স্বীকৃত) কাউন্সিল আইন-২০১৬’। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তাদের তরফ থেকে আইনটির খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে অনুমোদনের জন্য তা মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত মার্চে মন্ত্রিসভায় আইনটির খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন পায়। তবে সংসদে তোলার পর কিছু ধারা সংশোধনের জন্য তা ফেরৎ পাঠানো হয়। সেই ধারাগুলো সংশোধন করেই এবার তা মন্ত্রিসভায় পাঠানো হচ্ছে।

অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেবে এবং তার সব কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানও যাচাই-বাছাই হবে এর মাধ্যমে। এই আইনের বলে স্বায়ত্তশাসিত যে প্রতিষ্ঠান গঠন করা হবে, সেটি প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি সনদ দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকও প্রকাশ করবে।

প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হবেন এমন একজন, যিনি শিক্ষার গুণগত মান সম্পর্কে অভিজ্ঞ; বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত ২৫ বছর শিক্ষকতা করেছেন এবং ১০ বছর অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

এর আগের খসড়াটিতে কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল ১১ সদস্যের। এবার বলা হয়েছে ১৩ জনের কথা। সদস্যদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন অধ্যাপক পদমর্যাদার শিক্ষাবিদ কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য হবেন। বাকি আটজন খণ্ডকালীন।

খসড়া আইন অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া ও শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করবে কাউন্সিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের কারিকুলামের নিয়ন্ত্রণও থাকবে এই কাউন্সিলের হাতে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বা বিভাগ খোলার জন্য কাউন্সিলের কাছে আবেদন করতে হবে। কাউন্সিলের সদস্যরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেবে। পরে কাউন্সিলই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও বিভাগ খোলার অনুমোদন দেবে।

সনদ বাতিলের বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনও বিশ্ববিদ্যালয় আইনের শর্ত ভাঙলে তাদের সনদ বাতিল হবে। অ্যাক্রেডিটেশন (স্বীকৃত) সনদ ছাড়া কোনও প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞপ্তি বা তথ্য-নির্দেশিকা প্রকাশ করতে পারবে না। কোনও সনদও দিতে পারবে না। কাউন্সিলের সদস্যরা কোনও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে কোনও তথ্য গোপন করা যাবে না। ব্যবস্থা নেওয়া হবে ভুল তথ্য দিলেও।

সনদ বাতিল হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অবশ্য রিভিউ আবেদন করতে পারবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি কমিটি গঠন করে আবেদনটি বিবেচনা করে দেখবে কাউন্সিল।

এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন-১৬’এর খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। মন্ত্রিসভার আগামী মঙ্গলবারের বৈঠকে এটি তোলা হতে পারে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।