ডেস্ক,২৭ আগষ্ট ২০২১:
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আশা করছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, এই সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা যাবে।
শুক্রবার গাজীপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে সরকার।
দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে নানা মহলের চাপের মধ্যে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে বৃহস্পতিবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে চারটি কর্মপরিকল্পনা আসে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন,‘গতকালই সবাইকে নিয়ে একটি যৌথ সভা করেছি, সেখানে আমরা কী করে আগামী এক মাসের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যায়। যত দ্রুত সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের শিক্ষার্থীদের যারা ১৮ বছরের বেশি, যাদেরকে টিকা দেওয়া যাবে, তাদেরকে টিকা দেয়া শেষ করতে। টিকা দেওয়ার পরে যেহেতু আরও সপ্তাহ দুয়েক লাগে ইমিউনিটি পেতে, একটা পর্যায়ে আসতে। অর্থাৎ আমরা অক্টোবরের মাঝামাঝির পরে আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে খুলে দিতে পারব।’
তবে স্কুলে খুলে দিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে গত বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা চেষ্টা করেও সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আর খোলা যায়নি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিজ্ঞানসম্মতভাবে’সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কিভাবে স্কুল খোলা যায়, সেজন্য সব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
দীপু মনি বলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে আবার সামনের সপ্তাহে বসব এবং ঠিক কত শতাংশে নামলে আমরা খুব বড় ঝুঁকি না নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব, এটা বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করব।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।