ডেস্ক: দু-চার বছর পর দেশের আর কোনো শিশু প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। মিনা দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর আয়েজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য ছিল, ঝড় ঝঞ্ঝা বন্যায় পাঠ বন্ধ নয়, মানসম্মত শিক্ষায় জাতি ধন্য হয়। মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সব শিশুকে ঝরে পড়া থেকে উদ্ধার করতে, মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে স্কুলে আনতে হবে। তাদের প্রাথমিক শিক্ষা চক্রটি শেষ করতে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আশা করছি, আগামী দু-চার বছর পর শিশুরা প্রাইমারিতে আর ঝরে পড়বে না। তবে স্কুলপর্বের পর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝরে পড়তেই পারে। আর এই জ্ঞানের শক্তি দিয়ে বিশ্বের দরবারে প্রমাণ করবো, আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। সব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বসবার করি। মন্ত্রী বলেন, মিনা আমাদের আদর্শের নায়ক, সমাজে এখনও অনেক জায়গায় অব্যবস্থাপনা রয়েছে। যা ইচ্ছা করলে রাজনীতিবিদ, আমলা কিংবা মন্ত্রীরা বললেও সম্ভব নয়।
সেই কাজটি করা হবে মিনা কার্টুনের মাধ্যমে। মিনা আমাদের উপদেশ দিচ্ছে তা নয়, দল-মত নির্বিশেষে মিনা আমাদের সঠিক পথ দেখাচ্ছে। তা আমরা মেনে চলবো। আমরা সবাই মিনা হবো সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। মিনার বয়স বাড়েনি মিনা চিরন্তন, যুগে যুগে আমাদের আদর্শ হয়ে থাকবে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষকরা যেন স্কুলের পাঠদানে ফাঁকি না দেন সে জন্য মিনা চরিত্রের মাধ্যমে সেটি তুলে ধরা হবে। অনেক শিক্ষকরা স্কুলের বাচ্চাদের বিষয়ে সচেতন নন। তারা নিজেদের ছেলেমেয়েদের ভালো পড়াশুনার জন্য কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি করান আর স্কুলের ছেলেমেয়েদের সঠিকভাবে পড়ান না। ফাঁকি দেন। তাদের বিষয়েও উপদেশমূলক এ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
by