প্রাথমিকে ছয় হাজার শিক্ষক নিয়োগ

ডেক্স : ২৩ এপ্রিল : অবশেষে নিয়োগ খড়গ থেকে কেটে উঠছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। খুব শিগগিরই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ থেকে ৬ হাজার সহকারি শিক্ষক শূন্য পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসছে বলে বিশেষ সূত্র জানিয়েছে। পুল-প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের মামলার জটিলতায় দীর্ঘদিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ স্থগিত ছিলো।তবে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এই সমস্যার সমাধান হয়। এতে প্যানেল ও পুলের বাকি ১৭ হাজার ৪৭৩ জন প্রার্থীর গত ৩০ মার্চ ২০১৭ তারিখের মধ্যে সকল নিয়োগ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন নতুন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আর কোনো আইনি জটিলতা নেই বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, বর্তমানে সারাদেশে (৬১ জেলায়) সহকারি শিক্ষকের সর্বমোট পদ শুন্য আছে ২৪ হাজার। এর মধ্যে পুল ও প্যানেলের সর্বশেষ ১৭ হাজার ৪৭৩ জন প্রার্থীর নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়। এতে করে প্রায় ৭ হাজার সহকারি শিক্ষকের পদ এখোনো শুন্য আছে। তবে দেশের কিছু স্থানে পুল ও প্যানেলভুক্ত প্রার্থী না পাওয়ায় সহকারি শিক্ষকের শুন্যপদ আরো কিছু বাড়বে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এসব প্রার্থী অন্য ভালো চাকরি পেয়ে প্রাথমিকে যোগদান করেনি। তবে অনেকেরই ধারণা পুল-প্যানেলের নিয়োগ পাওয়া ১৭ হাজার শিক্ষকের মধ্যে শেষ পর্যন্ত ১৪ হাজার শিক্ষক যোগদান করেছেন। এ কারণে সারাদেশে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষকের শূন্যপদ সৃষ্টি হবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান আমার সংবাদকে বলেন, খুব শিগগিরই সহকারি শিক্ষক পদে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার হবে। পুল ও প্যানেল শিক্ষকদের বিষয় যেহেতু নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন আর আইনি জটিলতা নেই। তবে কবে নাগাদ হতে পারে তা নির্দিষ্ট করে কিছুই বলেননি সরকারের এই কর্মকর্তা।

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, মাঠ পর্যায়ে পুল ও প্যানেলের এখনো কত পদ খালি আছে তার একটা সার্ভে শুরু হয়েছে। এর পরে সকল দিক সমন্বয় করে সহকারি শিক্ষকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নিয়োগ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, আগামী মে মাস থেকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার জোর সম্ভাবনা।

এর আগে, পুল ও প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের মামলা জটিলতায় ২০১৪ সাল থেকে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত হয়। এ ক্যাটাগরির শিক্ষকদের নিয়োগ জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে আদালত থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

ফলে ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তা স্থগিত হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছিলেন, নতুন বছরে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শুন্য পদ পূরণ করা হবে। আর কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ঘাটতি থাকবে না বলেও তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।